পঞ্চগড়ে মালবাহী ট্রেনে বালি পরিবহনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে

news paper

সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড়

প্রকাশিত: ২০-৮-২০২৫ দুপুর ৩:৪৫

24Views

পঞ্চগড়ে মালবাহী ট্রেনে বালি  পরিবহনে পরিমানের তুলনায় ওভারলোড দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে,ষ্টেশন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।এতে একদিকে মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার এবং অতিরিক্ত বালি পরিবহনে ঝুঁকিতে রেললাইনসহ মালবাহী ট্রেনগুলো।অতিরিক্ত লোডের বিষয়টি স্বীকার করলেও অর্থ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, সম্প্রতি পঞ্চগড় রেল ষ্টেশন থেকে মালবাহি ট্রেনে করে বালি পরিবহন শুরু হওয়ায় নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে জেলার অন্যতম এই অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে।তবে ষ্টেশন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারীর অনিয়মে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

তথ্যনুযায়ী ঢাকনা ওয়ালা এবং ঢাকনা বিহীন খোলা দুটি মালবাহী ট্রেনের ৩০ টি ওয়াগনে (বগি) বালি পরিবহন করা হয়।এসব ওয়াগনের ধারণ ক্ষমতা ৫৫ মেট্রিক টন।ভেজা বালি ২৮ ইঞ্চি এবং শুকনো বালি ৩৫ ইঞ্চি উচ্চতায় চিহ্ণিত দাগে প্রত্যেকটি ওয়াগনে বালি লোড দেয় শ্রমিকরা।তবে ধারণ ক্ষমতা ৫৫ মেট্রিক টন হলেও ট্রেন চলাচলের সময় ঝাঁকি খেয়ে পরিমাপের স্কেলে বালির পরিমান কমে যায়।এ জন্য ব্যবসায়ীরা কয়েক ইঞ্চি ওভার লোড করে।এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আন্তদেশীয় বালি
আমদানীকারক ও কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী প্রত্যেক বগিতে অতিরিক্ত ৩০ থেকে ৩৫ মেট্রিক টন বালি পরিবহন করে।

ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা বলছে,মালবাহী ট্রেন ব্যবস্থাপনার জন্য ট্রেন প্রতি মোটা অংকের ঘুষ দিতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের।তারা জানায়,১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বালি ১০ চাকার ট্রাকে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পরিবহন করতে খরচ হয় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। তবে রেলপথে একই পরিমাণ বালি পরিবহনে খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।এতে পরিবহন খরচ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমে যায়।তারা জানান,প্রতি ওয়াগনে (বগি) ৮-১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হয় সংশ্লিষ্ট কর্তাদের।

ব্যবসায়ী রবি হাসান জানান,ওভার লোডে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি স্পষ্ট,সবাই জানে।রেলে বালি পরিবহনের ব্যবসা শুরু হওয়ায়, ষ্টেশনে সকলের মধ্যে উৎসাহ শুরু হয়েছে। কিন্তু এভাবে দুর্নীতি শুরু হলে একসময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে বালি পরিবহন।তখন আমরা সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ হবো। আমরা চাই স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হোক।

অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চগড় রেল ষ্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশন মাস্টার জাহেদুল ইসলাম জাহিদ ,
ঘুষ আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,
মালবাহী ট্রেনে অতিরিক্ত বালি লোড করা হয়না। ট্রেন চলাচলের সময় ঝাঁকি খেয়ে পরিমাপের স্কেলে বালির পরিমান কমে যাওয়ায়, এক-দুই ইঞ্চি বালি বেশী নেয় ব্যবসায়ীরা।


আরও পড়ুন