দুমকিতে পায়রা নদীর ভাঙ্গন থেকে আলগী গ্রাম রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন
প্রকাশিত: ১৬-৮-২০২৫ বিকাল ৫:২৭
পটুয়াখালীর দুমকিতে পায়রা নদীর ভাঙ্গন রোধ ও আলগী গ্রাম রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার ( ১৬ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামের পায়রা নদীর পাড়ের
বিভিন্ন শ্রেনী পেশার শত শত মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করে । ভাঙনে বিলীন হচ্ছে কৃষিজমিসহ শতাধিক ঘরবাড়ি। ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই বিলীন হয়ে যেতে পারে তীরবর্তী গ্রাম।তাই দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী তীরবর্তী বাসিন্দাদের।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, এবিপার্টি পটুয়াখালী জেলার সদস্য সচিব, প্রকৌশলী মোঃ কামাল হোসেন, ইউপি সদস্য সরোয়ার শিকদার, সাবেক ইউপি সদস্য সুলতান তালুকদার, স্থানীয় বাসিন্দা জাকির বিশ্বাস, মো: সুমন হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, মাওলানা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইতিমধ্যেই আলগী গ্রামের বেশীর ভাগ পায়রা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পায়রা নদীর স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় লেবুখালী থেকে আলগী গ্রামের প্রায় ২ কিলোমিটার ওয়াপদা ভেঙে যাওয়ায় পুরো আলগী গ্রামে ভাঙনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার পরিবারগুলোর নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোর সবাই নিজেদের মালামাল বহন করে কাছের সরকারি রাস্তার ওপর স্তুপ করে রাখছেন। নদী ভাঙ্গনে অন্তত: শতাধিক পরিবার এখন নি:স্ব হয়ে পরেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, বিগত ৫-৬ বছরে পায়রা নদীর ভাঙনে অন্তত শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি, বাগান, করবস্থান, মসজিদ, মন্দির, ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। তারা আমাকে জানিয়েছেন এই মূহুর্তে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধে দু'একদিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। আশাকরি দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন হবে।