জাতীয় জাদুঘরে পদোন্নতির সংকট-কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম হতাশা

news paper

নারগিস পারভীন

প্রকাশিত: ৫-৮-২০২৫ বিকাল ৭:৬

67Views

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের পদোন্নতি বঞ্চিত  কিছু কর্মকর্তাদের অবসরে যাওয়ার আদেশ  করছেন  বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। এতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  দীর্ঘদিনের পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্যেের অভিযোগ উঠেছে জাদুঘরের দায়িত্বশীদের উপর।গত ২৭  জানুয়ারিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখা থেকে আদেশ  জারি হওয়ার পর থেকে চাপা ক্ষোভ দেখা যায় জাদুঘরের কর্মরত বৈষম্যের শিকার হওয়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে। দীর্ঘদিনের বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে মেধা, দক্ষতা, কর্মনিষ্ঠা ও প্রকৃত জ্যেষ্ঠতা বিবেচনায় নিয়ে বঞ্চিতদের  নিজ দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে অনুরোধ করছেন ভুক্তভোগীরা।
নোটিশ জারি হওয়ার পর থেকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই। 
উপ-কিপার হিসেবে রুটিন দায়িত্বে থাকা ভুক্তভোগী সাইদ সামসুল করিম বলেন, ২০২৪ সালে উপ- কিপার হিসেবে রুটিন দায়িত্বে রেখে আমাকে অবসরে পাঠানো হচ্ছে। ১০ আগস্ট ২০২৫ সাল যার নির্ধারিত সময়। আমি দীর্ঘ সময় পার করেছি এ জাদুঘরে এবং কালক্ষেপণে  নানা ভাবে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে।  আমি ১৯৯০ সালে গাইড লেকচারার হিসেবে যোগ দান করি। পরবর্তি সময়ে ১৯৯৭ সালে  সিনিয়র লেকচার হিসেবে পদোন্নতি হয়। এ পর্যন্ত সব ঠিক ঠাক থাকলেও ৮ বছরের জুনিয়র ইলিয়াস খানকে শিক্ষা অফিসার পদে পদোন্নতি দিয়ে ২০০২ সালে সিনিয়র জুনিয়র এর বৈষম্য সৃষ্টি করেন তৎকালীন সময়ের সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন।  তিনি সম্পর্কে ছিলেন ইলিয়াস হোসেনের স্ত্রীর আপন বড় ভাই ।  এর পর ১৭ বছর পর শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পাই ২০১৪ সালে। আবারও বৈষম্যের শিকার হই। সেই সময়ের সাবেক পালাতক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদের সুপারিশে পাঁচ বছরের জুনিয়র নাসির খান কে পদোন্নতি দিয়ে উপ-কিপারের দায়িত্ব দেন ২০২৩ সালে। যা জ্যেষ্ঠতার ক্ষেত্রে আমার প্রাপ্তি ছিল।রুটিন দায়িত্ব থেকে রেগুলার দায়িত্বে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য  আমি অনুরোধ করেছি দায়িত্বে থাকা সাবেক মহাপরিচালক কামরুজ্জামান, ফরহাদ হোসেন,নাফ্রিজা শ্যামাসহ বর্তমান ভারপ্রাপ্ত  মহাপরিচালক সাদিকুল ইসলামকে।  আমার একটায় দাবি মানবিক দিক বিবেচনায় রেখে অবসরে যাওয়ার আগে আমার উপর থেকে রুটিন দায়িত্ব তুলে দিয়ে   উপ-কিপারের রেগুলার দায়িত্বে বহাল রেখে অবসরে পাঠানো হোক। 
 সহ- রেজি: কিপার সৈয়দ সারোয়ার হোসেন ও ঊর্ধ্বতন প্রদর্শক প্রভাষক কাজী ফরিদ আহমেদের প্রতিও এমন বৈষম্যের অভিযোগ রয়েছে। এ বছরের ডিসেম্বরেই তারা  দু'জনে  অবসর গ্রহণ করছে।
 জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ফরহাদ সিদ্দিককে  মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, এবিষয়ে কোন সাড়া দেন নি 

অবসরে যাওয়া পদোন্নতি বঞ্চিতদের বিষয়ে জানতে প্রতিবেদক মুঠোফনে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সাদিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আজকে প্রোগ্রাম আছে।   এবিষয়ে এখন কথা বলার সুযোগ নেই, মাফ চেয়ে  নিচ্ছি। পরে আসবেন।


আরও পড়ুন