ঈশ্বরদীতে উপজেলা ও পৌর বিএনপি নেতাদের সংবাদ সম্মেলনে হাইব্রিড নেতাদের মুখোশ উন্মোচন

news paper

এএ আজাদ হান্নান, ঈশ্বরদী

প্রকাশিত: ৪-৮-২০২৫ বিকাল ৫:৭

53Views

ঈশ্বরদী উপজেলা, পৌর বিএনপি এবং যুবদলসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে সোমবার সকালে স্থানীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথাসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় নেতার বিরুদ্ধে বিতর্কিত জুবায়ের হোসেন বাপ্পীর ষড়যন্ত্রমূলক ও মানহানিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে এই পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা। এছাড়া বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এসএম ফজলুর রহমান, বিএনপি নেতা আসসান হাবিব, আমিনুর রহমান স্বপন, আতাউর রহমান পাতা, হুমায়ুন কবির দুলাল এবং ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন জুয়েলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

বক্তারা বলেন, গত ১ আগস্ট জুবায়ের হোসেন বাপ্পী ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তারা এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারা দাবি করেন, এই মিথ্যাচারের পেছনে কারা রয়েছেন, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক।

বক্তারা আরও অভিযোগ করেন যে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাকারিয়া পিন্টু এমপি পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। হাবিব বিভিন্ন টক-শো এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাকারিয়া পিন্টুর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটাতে থাকেন। বক্তারা আরও বলেন, হাবিবুর রহমান হাবিব পদ্মা নদীর জলদস্যু ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার হাসানুজ্জামান কাঁকনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বক্তারা জুবায়ের হোসেন বাপ্পীর অতীত কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, গত ১৬ বছর তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন। তিনি নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি-র অন্যতম প্রধান অর্থ সহযোগী ছিলেন। বাপ্পীর বাবা বিদেশে থাকাকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার ও তার মায়ের অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। ৫ আগস্টের পর হঠাৎ করেই বাপ্পীর উত্থান হয়। বাপ্পী এবং তার কর্মকাণ্ডের পেছনে হাবিবুর রহমান হাবিব ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী শরিফুল ইসলাম তুহিনের মদদ রয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, শরিফুল ইসলাম তুহিন একজন খুনি ও সন্ত্রাসী। তিনি নিজের দলের জনপ্রিয় নেতাকে হত্যা করার দায়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। যার হাতে নিজ দলের কর্মী নিরাপদ নয়, তার কাছে বিএনপির নেতৃত্ব কীভাবে নিরাপদ থাকবে? তারা হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ আনেন। বলেন, তিনি ছাত্রলীগে থাকার সময় এবং পরে বিএনপিতে যোগদানের পরও কোনো নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ভোট দেননি বা আন্দোলন-সংগ্রামে দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা পালন করেননি। অথচ ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ঈশ্বরদীতে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন।

সবশেষে, তারা আওয়ামী লীগ থেকে আসা হাইব্রিড নেতাদের মুখোশ উন্মোচন এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন।


আরও পড়ুন