সিলেটে বিএনপি নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ

news paper

সিলেট ব্যুরো অফিস

প্রকাশিত: ৪-৮-২০২৫ দুপুর ১:৫২

117Views

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের বিএনপি নেতাকে  মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ধোসর ও একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাদীকে দিয়ে এই মামলা করিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 
এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝেও বিরাজ করছে উত্তেজনা।  মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার সৈয়দ রনি হাসান সালামকে যুবলীগ নেতা সাজিয়ে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় বলে জানা যায়। 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৈয়দ রনি হাসান সালাম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে বহু আগে থেকেই জড়িত। বর্তমানে তিনি ভাটেরা ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি হিসেবে আছেন। এর আগে তিনি ১৯৯৩ সালে ছিলেন ছাত্রদল ভাটেরা স্কুল (বর্তমানে ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজে) কমিটির সেক্রেটারি, ১৯৯৫ সালে ছিলেন ভাটেরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সেক্রেটারি, ১৯৯৭ সালে  হন ভাটেরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি, ২০১৪ সাল থেকে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তিনি। সে জন্য তার উপর হাসিনার আমলে দেয়া হয় ৯ টি মামলা। ২০১৯  সাল থেকে এখনও তিনি ভাটেরা ইউনিয়ন সেক্রেটারি হিসেবে আছেন। এছাড়াও তিনি ২০২৩ সালে উপজেলা বিএনপির ত্রান ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। 
সালাম জানান, মামলার বাদী কে তা আমি চিনি না। তার ধারনা বিএনপিকে পঙ্গু করতে আওয়ামিলীগের ধোসররা এসব মানলা দিয়ে নেতা কর্মীদের হয়রানি করছে।  এছাড়াও সৈয়দ রনি হাসান সালাম সারাজীবন বিএনপি করেও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মামলার আসামি হওয়ায় অবাক হয়েছেন এলাকাবাসী। 
স্থানীয় বিএনপি ও সচেতন মহল এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। চলতি বছরের ২৪ মার্চ সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জুলাইর ঘটনায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করেন এক ব্যক্তি। অভিযোগপত্রে বাদীর ঠিকানা দেখানো হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে।  
আর বর্তমান ঠিকানা দেখানো হয়েছে সিলেট শাহপরান থনার কুড়িরচক, মীরেরচক এলাকায়।  ৫২ জনের নাম উল্ল্যেখ করে এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাত করে দায়ের করা এই মামলায় ২০ নাম্বর আসামি করা হয়েছে  বিএনপি নেতা সৈয়দ রনি হাসান সালামকে।   

এ ব্যাপারে সিলেট কোতয়ালী মডেল থানার ওসি জিয়াউল হক মামলার বিষয়ে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা প্রকৃতপক্ষে দোষী নন তাদের কোনো অবস্থাতেই হয়রানি করা হবে না। 
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি স্বার্থান্বেষী মহল ইর্ষান্বিত হয়ে সৈয়দ রনি হাসান সালামের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে।
সৈয়দ রনি হাসান সালামের অভিযোগ, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে ৯ টি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা ছিল আমার উপর। এরপরও আমি বিএনপির প্রতিটি আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। দলের প্রতি আমার কর্তব্য ও একনিষ্ঠতা দেখে সহ্য করতে না পেরে আমাকে ঘায়েল করতে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি জীবনভর জাতীয়তাবাদী আদর্শ বুকে ধারণ করে আসছি। এ কারণে আওয়ামী লীগের সময়ে ৯টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার আসামিও হয়েছি। ফ্যাসিবাদ দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরও তাদের চক্রের ষড়যন্ত্রে আবারও আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
 এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট কোতয়ালী মডেল থানার এ এস আই খালেক কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তে রয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্হা নেয়া হবে। মিথ্যা মামলা হলে সে মোতাবেক প্রতিবেদন দেয়া হবে। 
এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বাচ্চু মিয়া জানান, সৈয়দ রনি হাসান সালামের সম্পুর্ন মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রশাসনের সাথে আলাপ করেছি। তিনি বলেন, সৈয়দ রনি হাসান সালাম ভাটেরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক। তিনি মিথ্যা মামলা দিয়ে সৈয়দ রনি হাসান সালামকে হয়রানী করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।


আরও পড়ুন