শাজাহানপুরে মামলা তুলে না নেয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা

news paper

মাহফুজুর রহমান মিলন, শাহজাদপুর

প্রকাশিত: ৩-৮-২০২৫ দুপুর ৪:১৯

16Views

বগুড়ার শাজাহানপুরে হত্যাচেষ্টা মামলা তুলে না নেয়ায় এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ৬দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যবসায়ীর নাম আল আমিন (৩৫)। তিনি উপজেলার খরনা ইউনিয়নের ভাদাইকান্দি গ্রামের আফসার আলীর পুত্র । 

জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে সম্প্রতি ঐ ব্যবসায়ী শাজাহানপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেছিলেন। ঐ মামলা তুলে নিতে বারবার চাপ দেয়ার পরও মামলা তুলে না নেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন গত ২৮ জুলাই তাকে হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়াসহ গুরুতর আহত করে। পরে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা ৬দিন চিকিৎসারত থাকাবস্থায় শনিবার রাত দশটার দিকে তিনি মারা যান।  

পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের পুত্র আতিকুর রহমান, আব্দুল লতিফের পুত্র বশির উদ্দিন আব্দুল বারির পুত্র আবু হোসেন ও ফজলুল হক দেড় বছর ধরে আল আমিনের দেড় একর কৃষি জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। দখলে বাধা দিতে গিয়ে এর আগে আল আমিন ও তার পরিবার দু’দফা হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় আল আমিন শাজাহানপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেছিলেন। এতে প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়। তারা আল আমিনের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

নিহত আল আমিনের পরিবার জানান, আল আমিন বগুড়া শহরের নিউ মার্কেটে কসমেটিক্সের ব্যবসা করতেন। ২৮ জুলাই সকাল ৮:৩০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। এ সময় আসামিরা তাকে ধরে একটি বাঁশঝাঁড়ে নিয়ে গিয়ে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার হাত ও পা ভেঙে দেয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা আফসার আলীকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহত আল আমিনের পরিবার গত ৩০ জুলাই শাজাহানপুর থানায় ১৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষরা ব্যবসায়ী আল আমিনকে রড দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছিল। শনিবার রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তবে চাঁদা দাবির অভিযোগটি সঠিক নয়। পরিবারের আগের মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হবে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।


আরও পড়ুন