ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া
প্রকাশিত: ২-৮-২০২৫ দুপুর ১১:৩৭
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের দুই বড় অর্থনৈতিক অংশীদারের মধ্যে মাসব্যাপী চলা অচলাবস্থার অবসান হলো। স্কটল্যান্ডে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লেয়েনের মধ্যকার আলোচনায় সব ইইউ পণ্যে ১৫ শতাংশ শুল্কের বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছে। এর আগে ট্রাম্প ৩০ শতাংশ আমদানি করারোপের হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পণ্যের ওপর শূন্য শতাংশ শুল্ক রেখে ইইউকে তার বাজার যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানিকারকদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। ভন দের লেয়েন চুক্তির প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি দুই সহযোগীর মধ্যে স্থিতিশীলতা আনবে।ট্রাম্প আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ও বিশ্ব অর্থনীতি পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অংশীদারদের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করেছেন। ইইউ'র মতো, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স এবং ভিয়েতনামের সাথেও শুল্ক চুক্তি করেছেন তিনি। যদিও ৯০ দিনে ৯০ চুক্তির লক্ষ্য তিনি অর্জন করতে পারেন নি।সম্প্রতি ট্রাম্প ও ভন দের লেয়েনের মধ্যকার আলোচনার পর চুক্তির বিষয়টি ঘোষণা করা হয়। স্কটল্যান্ড সফরে ট্রাম্প বলেছেন,'আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছি।এটা সবার জন্য ভালো একটি চুক্তি। এটি আমাদের আরও ঘনিষ্ঠ করবে'।ট্রাম্প আরও বলেছেন,ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমেরিকান সামরিক উপকরণ ক্রয়সহ যুক্তরাষ্ট্রে ছয়শ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বাড়াবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি খাতেও তারা সাড়ে সাতশ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। আগামী তিন বছরে আমেরিকান এলএনজি, তেল ও পরমাণু জ্বালানিতে বিনিয়োগের ফলে রাশিয়ার জ্বালানি শক্তির ওপর ইউরোপের নির্ভরশীলতা কমবে বলে উল্লেখ করেছেন ভন দের লেয়েন।
কিছু নির্দিষ্ট রাসায়নিক পণ্য, কিছু কৃষি পণ্য এবং এয়ারক্রাফট ও এর পার্টসসহ কিছু পণ্যের ওপর কোনো শুল্ক দেয়া হয়নি। তবে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। ভন দের লেয়েন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, 'তিনি একজন কঠিন আলোচক, কিন্তু তিনি একজন ডিলমেকার'। দুপক্ষই এই চুক্তিকে তাদের জন্য বিজয় ভাবতে পারেন। কারণ ইইউ এর জন্য শুল্ক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো। আবার ব্রিটেনের মতো দশ শতাংশ শুল্ক হয়নি। তবে জাপানের মতো ১৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হয়েছে ইইউর জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলারের মতো শুল্ক আদায় হবে। পাশাপাশি শত শত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এখন যুক্তরাষ্ট্রে আসার কথা।এটা পরিষ্কার যে ট্রাম্প ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য চুক্তি করেছেন। আর ভন দের লেয়েন বলেছেন, বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুন:ভারসাম্য এসেছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর মধ্যে বাণিজ্য ছিলো প্রায় ৯৭৬ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ছিলো ৬০৬ বিলিয়ন ডলার। এই ঘাটতিই হলো ট্রাম্পের মূল পয়েন্ট। তিনি বলেছেন এই বাণিজ্য সম্পর্কের মানে হলো যুক্তরাষ্ট্র ক্ষতির শিকার হচ্ছে। ইউরোপের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে শুল্ক প্রয়োগ করলে এই শুল্ক স্পেনের ঔষধ শিল্প থেকে শুরু করে ইটালিয়ান লেদার, জার্মানি ইলেকট্রনিক্স ও ফ্রান্সের চিজের ওপর প্রয়োগ হতো। ইইউ বলেছিলো তারাও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বিশেষ করে গাড়ির যন্ত্রাংশ, বোয়িং বিমান ও গরুর মাংসের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইউরোপের অন্য নেতারা অবশ্য নতুন চুক্তিকে সতর্কতার সাথে স্বাগত জানিয়েছেন। আইরিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগের চেয়ে উচ্চ হারে শুল্ক বাণিজ্যকে ব্যয়বহুল ও চ্যালেঞ্জিং করে তুলবে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যেই আয়ারল্যান্ড রফতানির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বেশি নির্ভরশীল।
জার্মানির চ্যান্সেলর সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন বাণিজ্য সংঘাত জার্মানিকে কঠিন আঘাত করবে। স্থিতিশীল ও অনুমেয় বাণিজ্য সম্পর্ক ব্যবসায়ী ক্রেতাসহ সবার জন্য সমান সুবিধাজনক, বলেছেন তিনি।ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ট্রাম্প এ দফায় যে হারে শুল্ক আরোপ করেছিলেন,তা হচ্ছে; ব্রাজিল থেকে পণ্য আমদানির ওপর ৫০ শতাংশ হারে; লাওস ও মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ; থাইল্যান্ডের ওপর ৩৬ শতাংশ; বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ; ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২ শতাংশ; দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপর ৩০ শতাংশ এবং জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ করে। প্রস্তাবিত শুল্কগুলো এ বছর ২ এপ্রিল এক অভূতপূর্ব সূত্রানুসারে বিভিন্ন দেশের ওপর যে হারে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছিল, অনেকটা তার কাছাকাছি। আর এই অভূতপূর্ব সূত্র দিয়ে শুল্কহার নির্ধারণের মূল বিবেচ্য হলো কোনো দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতিকে সেই দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি দিয়ে ভাগ করা। কেন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারসাম্য অবশ্যই থাকতে হবে, তার কোনো নিপাট কারণ নেই। আর তাই নেই বলে এটাও নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না যে বাণিজ্য ভারসাম্য যার অনুকূলে বা যে দেশে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত উপভোগ করছে, সে দেশে কোনো প্রবঞ্চনা করছে। সর্বোপরি, পণ্য বাণিজ্যে বা পণ্য ও সেবা খাতের বাণিজ্যে সার্বিক ভারসাম্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ভাবে নির্ধারিত বাণিজ্য ভারসাম্যের সমষ্টি নয়। বরং এটি হলো জাতীয় আয়, পুঁজিপ্রবাহ এবং সামষ্টিক আয় ও ব্যয়ের যুগপৎ মিথস্ক্রিয়ার ফল।তাই এটা বিশ্বাস করা পাগলামিই যে যুক্তরাষ্ট্র বিরাট রাজস্ব ঘাটতি বহন করে চলবে অথচ তার বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি ও চলতি হিসাবের ঘাটতি থাকবে না, অন্তত যতক্ষণ বাকি দুনিয়া এই ঘাটতির অর্থায়ন করে চলবে।
যদি তা না করা হয়? এক বড় আর্থিক বিপর্যয় দেখা দেবে। এমতাবস্থায় অযৌক্তিকভাবে জোড়াতালি দেওয়া শুল্কহার প্রস্তাব করে সম্পদ বণ্টনে বড় ধরনের হযবরল অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা বুঝতে পারছেন না, তা হলো কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করার মানে হলো, অন্য কিছু পণ্য উৎপাদনের ওপর কর আরোপ করা। ইস্পাত বা অ্যালুমিনিয়ামের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করার মানে হলো, যেসব উৎপাদক এসব কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে অন্য পণ্য উৎপাদন করে, তাদের ওপর কর আরোপ করা। যদি উৎপাদকেরা আমদানি-বিকল্প পণ্য উৎপাদন করে থাকে, তাহলে শুল্ক আরোপের মাধ্যমে হয়তো তাদের খরচের কিছুটা মেটানো যেতে পারে। কিন্তু যদি তারা রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদন করে, তাহলে তা নয়। তাহলে দাঁড়াচ্ছে এই যে ট্রাম্পের শুল্ক থেকে দেশের স্বল্প প্রতিযোগিতাসক্ষম অংশ সুবিধা পাবে অধিক প্রতিযোগিতাসক্ষম অংশের ব্যয়ে। এর কোনো মানে হয়? নিশ্চয়ই না। আরও খারাপ বিষয় হলো, পুরো মনোযোগ অতীতের বিষয়বস্তুর ওপর নিবদ্ধ। অথচ অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো, আগামীর প্রতিযোগিতাসক্ষমতা। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) ডেভিড আর্থার এবং হার্ভার্ডের গর্ডন হ্যানসন উল্লেখ করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আজকের চ্যালেঞ্জ হলো, একটি কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক পরাশক্তি হিসেবে চীনের উত্থান। যদি এই উত্থানের জবাব দিতে হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে তার মিত্রদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অধিক সম্পদ বরাদ্দ করতে হবে এবং মেধাবী অভিবাসীদের স্বাগত জানাতে হবে। তবে ট্রাম্প এখন যা করছেন, তার বিপরীত! তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে আবার মহান বানাবেন? প্রায় অসম্ভব। হ্যাঁ, আর্থিক বাজারগুলো এখন যুক্তরাষ্ট্রের এসব দীর্ঘমেয়াদি বিপদ উপেক্ষা করছে। তারা হয়তো সঠিক।
তবে এরপর আর ঠিক না-ও হতে পারে। ট্রাম্পের এসব শুল্ক শুধু বোকামিতে পূর্ণই নয়, বরং ভয়াবহ। যেমন: বলসোনারো ব্রাজিলের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল উল্টে দিতে চেয়েছিলেন। বিষয়টা পরিচিত ঠেকছে না? পল ক্রুগম্যান একে ট্রাম্পের ডিটেক্টর প্রটেকশন প্রোগ্রাম হিসেবে অভিহিত করেছেন। অন্য সব কিছু বাদ দিলেও এই উদ্দেশ্যে শুল্ক ব্যবহার করার কোনো আইনি এখতিয়ার ট্রাম্পের নেই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুসারে, লাওস অত্যন্ত দরিদ্র একটি দেশ যার মাথাপিছু জিডিপি বা আয় হলো যুক্তরাষ্ট্রের ১১ শতাংশ। আবার ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে লাওসের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল মাত্র ৮০ কোটি ডলার।এ রকম একটা দেশের ওপর একটা পরাশক্তি শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করবে, এমন চিন্তা করাটাই তো বোকামির সীমা ছাড়িয়ে যায়। এটা ভয়াবহ ব্যাপার। আর যে বিষয়টা এহেন শুল্ক আরোপকে অপূরণীয় পাপ করে তুলেছে, তা হলো; ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র লাওসে ২০ লাখ টন বোমা বর্ষণ করেছিল। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় লাওসের ওপর যে পরিমাণ বোমা ফেলা হয়, তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি ও জাপানের ওপর সমন্বিতভাবে নিক্ষিপ্ত বোমার পরিমাণের চেয়ে বেশি। হোয়াইট হাউস অবশ্য স্পষ্টই ঘোষণা করেছে যে এই প্রশাসনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইতিহাসের সেরা বাণিজ্য দর-কষাকষিকারী। যাঁর কৌশল হলো,'শুল্কহারের পদ্ধতিগত ভারসাম্যহীনতা ঠিক করা যা দশকের পর দশক ধরে বাণিজ্য অংশীদারদের অনুকূলে রয়ে গেছে।’ বস্তুত, আগামী কয়েক মাসে প্রায় ২০০টি দেশের সঙ্গে দূরে থাকে, ১০০টি দেশের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্র কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে পারবে না। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অনেকগুলো দাবি একেবারে অগ্রহণযোগ্য।
যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে মূল্য সংযোজন কর বাতিল করতে হবে বলে যে দাবি করা হয়েছে। মূসক বা ভ্যাট বাণিজ্যে বিকৃতি ঘটায় না, এটা ইইউর বাজারে বিক্রি হওয়া সব পণ্য ও সেবার ওপর আরোপিত। সর্বোপরি বিভিন্ন দেশের ওপর যথেচ্ছ হারে শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি কোনোভাবেই কমাবে না।
২০১৬ সালে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার আগে গড়ে শুল্কের হার ছিল প্রায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ। এরপর তিনি ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, ওয়াশিং মেশিন, সৌর প্যানেল এবং চীনের অনেক পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছিলেন। জো বাইডেন কিছু শুল্ক বহাল রেখেছিলেন। তবে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বর্তমান শুল্কের হার ২০১৬ সালের তুলনায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি হয়ে গেছে। গাণিতিক ভাবে হিসাব করলে এর ফলে শুল্কজনিত কষ্ট ২২৫ গুণ বেড়ে গেছে। এটি ট্রাম্পের প্রথম দফার শুল্ক বৃদ্ধির খরচের চেয়ে ৫০ গুণের বেশি। সম্ভবত ভোটাররা ভালো অর্থনৈতিক সময়ের স্মৃতি মনে রেখে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তাঁর প্রথম মেয়াদে শুল্ক নিয়ে অনেক কথা হলেও বাস্তবে তার প্রভাব তেমন বেশি ছিল না। সেগুলো ছিল মাত্র সামান্য একটা ধাক্কার মতো। কিন্তু এবার এটি যেন বিশাল এক পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে। ফলে আগের তুলনায় এর প্রভাব অনেক বেশি হবে-এটি আরেকটি হালকা ধাক্কা নয়, বরং বড় ধরনের এক সংঘর্ষের মতো।
লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক, যুক্তরাজ্য