সরকারি রাস্তা বন্ধ করে মালামাল লোড-আনলোড
প্রকাশিত: ২২-৭-২০২৫ দুপুর ৩:৩৯
সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউজ মোড়ে সরকারি রাস্তা বন্ধ করে ট্রাক লোড-আনলোড করায় জনগণের চলাচলে ভোগান্তির অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায়শই সাধারণ জনগণ যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, সাতক্ষীরা পৌর ৯নং ওয়ার্ডে সার্কিট হাউজ মোড়ে রসুলপুর গ্রামের মৎস্য অফিসের যাতায়াতের সরকারি রাস্তাজুড়ে মেগা ফিডের (হাঁস, মুরগি ও মাছের খাদ্য) গোডাউন ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। এর ফলে মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও গ্রামের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এই শ্যামল ফিডের দোকান ছাড়াও তার রয়েছে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তার নিজের ‘নয়ন’ নামে একটি জুয়েলারী দোকানও রয়েছে, যেখানে তিনি চড়া সুদে সোনা বন্ধকের নামে সুদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন।
রসুলপুর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি বলেন, "আমাদের এলাকায় যাতায়াতের এই একটি রাস্তা। এই রাস্তার পাশে সরকারি বি.এ.এম. ভবনটি ভাড়া নিয়েছে মেগা ফিড ব্যবসায়ী শ্যামল কুমার। এই ব্যবসায়ী শ্যামল কুমার রাস্তা আটকে ট্রাকে ফিড লোড-আনলোড করায় আমাদের ঝুঁকির মধ্যে চলতে হয়। কেউ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।"
রসুলপুর গ্রামের মোটরসাইকেল মিস্ত্রি ইয়াসিন বলেন, "আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকার থাকাকালীন আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই প্রতিবাদের কারণে প্রশাসনের দিয়ে আমাদের হয়রানি করে এই শ্যামল। আরও বলেন, তৎকালীন সময় আমাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কাছে উচ্ছেদের অভিযোগ দিয়ে শ্যামল হিন্দু বলে নাটক সাজিয়েছিল যে সংখ্যালঘুকে আমরা নাকি উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছি। তারপর থেকে রাস্তা আটকে ট্রাক লোড-আনলোড করলে কেউ কিছু বলে না ভয়ে।"
রসুলপুর গ্রামের চায়ের দোকানদার মোস্ত বলেন, "প্রতিদিন এই রাস্তায় বড় বড় ট্রাক নিয়ে আসলে আমাদের রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই শ্যামলের কিছু বলার সাহস নাই। কারণ রসুলপুর এলাকার কিছু নেতাকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে। সরকারি রাস্তার ক্ষতি করে ও জন সাধারণ মানুষের হয়রানি করে মেগা ফিড ব্যবসা করে যাচ্ছে শ্যামল কুমার।"
রসুলপুর গ্রামের হোটেল ব্যবসায়ী রফিকুল বলেন, "শ্যামলের কারণে আমরা ভোগান্তি পাচ্ছি কিন্তু আমাদের কিছুই বলার নাই। আমরা কিছু বললে হয়রানির শিকার হতে হবে।"
এ বিষয়ে মেগা ফিডের শ্যামল কুমারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
মৎস্য অফিসের রাস্তা বন্ধ করে ফিডের গাড়ি লোড-আনলোডের বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জি.এম. সেলিম বলেন, "আমাদের মৎস্য অফিসের যাতায়াতের রাস্তার উপর দিনের বেলা লোড-আনলোডের কাজ বন্ধ রাখতে বলছি কিন্তু তারা সেটি বন্ধ করছে না। আমি তাদের বলেছি অফিস চলাকালীন সময়ে কাজ বন্ধ রেখে সন্ধ্যার পরে লোড-আনলোড করতে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।