ভারতের কাছে বিশ্বকাপেও না খেলার প্রতিশ্রুতি চাইলেন পাক তারকা
প্রকাশিত: ২২-৭-২০২৫ দুপুর ১০:৪৯
পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইংল্যান্ডে চলমান ওয়ার্ল্ড লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউসিএল) শুরু করার কথা ছিল ভারত চ্যাম্পিয়ন্সের। কিন্তু সাম্প্রতিক উত্তেজনার জেরে ভারতীয় কিছু ক্রিকেটার খেলতে রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি বাতিল করে আয়োজকরা। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করছেন ভারত ও পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা।
ভারতের কেউ কেউ বলেছেন, শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, যুবরাজ সিং ও হরভজন সিংদের এই সিদ্ধান্ত দেশপ্রেমেরই প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেটারদের এমন অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।
যুবরাজ সিংহের নেতৃত্বাধীন দলের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার সালমান বাট। তিনি চান, ভারতীয় দল এ ধরনের অবস্থান যদি গ্রহণ করেই থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে যখন আইসিসি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে, তখনও যেন একই অবস্থান বজায় রাখে।
এ বিষয়ে সালমান বাটের মত, যদি একবার কোনো অবস্থান নেওয়া হয়, তাহলে তা সবধরনের খেলায় বজায় রাখা উচিত।
পাকিস্তানের সাবেক এই ওপেনার বলেন, ‘পুরো বিশ্ব এখন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলছে। তারা ক্রিকেট ও ভক্তদের কাছে কী বার্তা পাঠালো? কী দেখাতে চাইছে তারা? কী প্রমাণ করতে চাইছে? তাহলে এখন বিশ্বকাপেও খেলো না... আইসিসি টুর্নামেন্টেও খেলো না। এটা প্রতিশ্রুতি দাও। দেখো, আমরা বুঝি যে প্রতিটি বিষয়ের নিজস্ব অবস্থান ও গুরুত্ব আছে। কিন্তু এখন যেহেতু বিষয়গুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করছো, তাহলে কোনো পর্যায়ে, কোনো টুর্নামেন্টেই খেলো না। অলিম্পিকেও না। আমি দেখতে চাই, তখন কেমন দেশপ্রেম দেখাও।’
সালমান বাট মনে করেন, ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের কয়েকজনের চাপে শেষ পর্যন্ত নিজেদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। অর্থাৎ তিনি মনে করেন, ভারতের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তটি ছিল চাপ প্রয়োগের ফল।
তার ভাষায়, ‘এটা কেমন মানসিকতা? আমি বুঝতে পারছি না। এই সিদ্ধান্তটা নিচ্ছে কারা? ওই চার-পাঁচজন ব্যক্তি, যারা খেলতে চায়নি, তাদের জন্য হয়তো অন্য যারা খেলতে আগ্রহী ছিল, তারাও চাপের মুখে পড়ে গেছে।’
এর আগে শহিদ আফ্রিদিও প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। সাবেক এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘একটা বাজে লোকের কারণে সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে।’
শহিদ আফ্রিদির কথা শুনে মনে হয়েছে, তিনি শিখর ধাওয়ানকেই ইঙ্গিত করেছেন। কারণ শিখর ধাওয়ানই ম্যাচ বয়কটের সিদ্ধান্ত জানিয়ে আয়োজকদের প্রথম চিঠি দিয়েছিলেন।