নেত্রকোনা কেন্দুয়ায় বিবাদীদের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ
প্রকাশিত: ২৯-৬-২০২৫ বিকাল ৬:৩৪
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় মারামরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামিদের বাড়ি ঘরে হামলা,ভাংচুর,লোটপাট ও ফিসারি মাছ বিষ প্রয়োগে নিধনের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার সান্দিকোণা ইউনিয়নের ডাউকি গ্রামের তাজুল ই্সলাম ও রুকনের সাথে এ বছরের জানুয়ারী থেকে ডাউকি জামে মসজিদের রাস্তা পরিবর্তন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই ঘটনায় তাজুল ইসলামের ছেলে রাকিবকে রুকনের লোকজন সান্দিকোনা বাজারে মারপিট করে। এরই জের ধরে গত ২২জুন সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটা কাটি শুরু হয়ে এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধেঁ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫জন আহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয় সান্দিকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুকন উদ্দিন ভূঁইয়া। তখন স্থানীয় লোকজন রুকন উদ্দিন ভূঁইয়াকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর অবস্থা অবনতি থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় রুকন উদ্দিন ভূইয়ার মেয়ে বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় ৮জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে তাজুল ইসলামসহ তাদের লোকজন পলাতক থাকায় রুকনের লোকজন তাজুল ইসলামের লোকজনের বাড়ি ঘরে হামলা মহিলাদের মারপিটসহ ঘরে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নীসংযোগ করে। এছাড়াও দুটি ফিসারিতে বিষ প্রয়োগ করে আনুমানিক ৩০-৩৫ লক্ষ টাকার শিং মাছ নিধন করেছে বলে জানায় ফিসারীর মালিক পলাতক তাজুল ইসলাম।
এছাড়া তিনি আরোও বলেন,রুকনের লোকজনের সাথে পুর্বে আমার কোন বিরোধ ছিলনা। মসজিদটি বহু বছর ধরে বাড়ি ঘরের মাঝখানে ছিল। গ্রামবাসী আমাকে বলছেন রাস্তার পাশে মসজিদ নির্মানের জন্য জায়গা দিতে। আমি তাদের কথায় রাজি হয়ে মসজিদটি পুনঃনির্মানের জন্য রাস্তার পাশে জায়গা দেই। যথারিতি রাস্তার পাশেই নতুন মসজিদের কাজ চলমান। মসজিদটি যখন বাড়ির ভিতরে ছিল তখন রাস্তা ছিল একদিকে আর এখন নতুন মসজিদ নির্মান হওয়ায় আমি আমাদের বাড়ির মানুষের চলাফেরার সুবিধার্থে রাস্থা দিয়েছি অন্য দিক দিয়ে। মুলত এ নিয়েই রুকনের লোকজনের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান,বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। হামলা,ভাংচুর,লুটপাট,বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের ব্যাপারে এখনও লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।