বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে মাওয়া ভ্রমণ, আপত্তি অন্য রাজনৈতিক দলের, এনসিপি নেতা আশিকের রাজনৈতিক প্রভাব?
প্রকাশিত: ২৮-৬-২০২৫ দুপুর ২:৫৭
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) পরিবহন ব্যবস্থা রাজনৈতিক কাজে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ব্যবহার করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামক সংগঠনের ব্যানারে মাওয়া সফরের আয়োজন করায় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কৃষি সেলের আহ্বায়ক আশিক আহমেদের নেতৃত্বে এই সফর অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস, একটি কোস্টার ও একটি মাইক্রোবাসে প্রায় ১২০ শিক্ষার্থী মাওয়া ভ্রমণে অংশ নেয়। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনে নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে আশিক এই বাস বরাদ্দ নেন। রাজনৈতিকভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিকে জনপ্রিয় করতে এবং সামনে অনুষ্ঠিতব্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অধিক ভোট পেতে প্রশাসনের বাস ব্যাবহার করে ভ্রমণের ব্যাবস্থা করেছেন নাগরিক পার্টির নেতা আশিক আহমেদ। এতে বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা তীব্র সমালোচনা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালায় অভ্যন্তরীণ কাজ ছাড়া বাস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও এই সফরে প্রশাসন অনুমতি দেয়ায় রাজনৈতিক মহলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মেয়েদের আবাসিক হল রাত ৯টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ার নিয়ম থাকলেও, তাদেরও রাতের সফরে নেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবুল হাসান বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের এমন অপব্যবহার প্রশাসনিক শৈথিল্য ও পক্ষপাতিত্বের পরিচায়ক।"
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস বলেন, "আমি বিস্মিত হয়েছি। প্রশাসন আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য বাস বরাদ্দ দিতে অস্বীকৃতি জানায়, অথচ একটি ভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনকে কোস্টার পর্যন্ত সরবরাহ করে। বরং আমাদের বলা হয়,‘তারা এখন ক্ষমতায় আছে, তাই তাদের কথা শুনতে হবে। তোমরা যখন ক্ষমতায় আসবে, তখন তোমাদের কথা শোনা হবে।চেয়ার টিকিয়ে রাখতে প্রশাসন যা দরকার তাই করছে, ন্যায়-নীতি ভুলে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা পরিচালককে ফোন করা হলে তিনি বিস্তারিত বলতে রাজি হননি।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর আহ্বায়ক মোঃ আসাদুল্লাহ জানান, "প্রায় ১১৩ জন শিক্ষার্থী সফরে অংশ নেয়। মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য হল প্রভোস্ট বরাবর অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল এবং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আলাদা গাড়িতে তাদের নেওয়া হয়েছে। সফরে রাজনৈতিক প্রচারণা হয়নি। শুধু এনসিপি নয়, ছাত্রদল, শিবিরের শিক্ষার্থীরাও ছিলেন।"
এ বিষয়ে একাধিকবার ফোন দিলেও এনসিপি নেতা আশিক আহমেদ কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ বলেন, "আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সফরের জন্যই অনুমতি দিয়েছি। ছাত্র পরামর্শকের সুপারিশে বাস বরাদ্দ করা হয়েছে।