নেত্রকোনায় ছাত্রদলের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ-শিক্ষা উপকরণ ও অভিভাবক সহায়তা
প্রকাশিত: ২৬-৬-২০২৫ দুপুর ২:৪৬
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেবল একটি ছাত্রসংগঠন নয়, বরং এটি আজ এক মানবিক আন্দোলনের নাম। তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাকে ঘিরে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের মানবিক উদ্যোগে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কর্মসূচির অংশ হিসেবে নেত্রকোনায় পরীক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ,পানি, ওরস্যালাইন বিতরণসহ বিভিন্ন সহযোগিতা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেত্রকোনা জেলা শাখা।
এই উদ্যোগের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শামছুল হুদা শামীম । জেলা ও উপজেলার প্রতিটি ইউনিটের ছাত্রদল নেতাকর্মীরা একযোগে মাঠে নেমে দিনভর পরীক্ষাকেন্দ্র গুলোতে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নিয়োজিত রয়েছেন।
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সকাল থেকে পরীক্ষার আগ পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের হাতে কলম,পেনসিল,রাবার, স্কেলসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রচণ্ড গরম ও শরীরের পানি শূন্যতা ঠেকাতে পানি ও ওরস্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষমাণ অভিভাবকদের জন্য বসার ব্যবস্থা এবং জরুরি তথ্য জানাতে একটি তথ্য কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে,যেখানে স্বেচ্ছাসেবকরা পরীক্ষার সময়সূচি,কেন্দ্র পরিবর্তন বা অন্যান্য যেকোনো বিষয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করছেন।
জানা যায় এই কার্যক্রম ২৬ জুন-২০২৫ তারিখে শুরু হলেও এটি পরীক্ষার শেষ দিন পর্যন্ত প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে চলমান থাকবে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নিজ খরচে ও স্থানীয় সহযোগিতায় এই মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখছেন।
এই আয়োজন শুধু ছাত্রদের জন্যই নয়,বরং পুরো অভিভাবক সমাজের কাছেও প্রশংসিত হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে সন্তানদের অপেক্ষায় থাকা অভিভাবকদের অনেকেই জানান,
"রাজনৈতিক দলগুলো যদি সত্যিকারের সেবামূলক ও মানবিক কাজে এভাবে এগিয়ে আসে,তাহলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবেই। ছাত্রদলের এই কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়।"
স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন,এই ধরনের উদ্যোগ একদিকে যেমন ছাত্রদলের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ায়,তেমনি রাজনৈতিক সংগঠন গুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তও হয়ে দাঁড়ায়।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এই সেবামূলক কার্যক্রম প্রমাণ করে-একটি আদর্শিক ছাত্রসংগঠন কেবল রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত থাকে না,বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাদের মূল লক্ষ্য।