বাকেরগঞ্জে জমে উঠেছে মাছ ধরা চাই’র হাট
প্রকাশিত: ২৬-৬-২০২৫ দুপুর ১:৯
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় জমে উঠেছে মাছ ধরা চাই এর হাট দীর্ঘদিন থেকে অনবৃষ্টি ও সাগরের নিম্নচাপের কারণে দেশের কয়েক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে কয়েকটি জেলার হাজারো মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এই দুর্ভোগের মধ্যেও তাদের মধ্যে দেখা গিয়েছে মাছ ধরার আমেজ। বর্ষায় নতুন পানি আসার সাথে সাথে খাল-বিল, নদ-নদীতে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীও প্রজাতি মাছের আনাগোনা। আর এসব মাছ ধরতে ব্যবহার হয় চাই বা দুয়ারীর অথবা খাদোইন।
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রংশ্রী ইউনিয়নের কালীগঞ্জ বাজারে জমে উঠেছে এসব মাছ ধরার চাই এর হাট। সপ্তাহে বৃহস্পতিবার একদিন হাট হয় এই কালিগঞ্জ বাজারে হাজার হাজার মাছ ধরার চাই খুচড়া ও পাইকারী দরে বিক্রী হচ্ছে।জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বহু পরিবার চাই ও দুয়ারি তৈরীর সংঙ্গে জড়িত। বছরের বর্ষা মৌসুমের ৬ মাস তারা এ মাছ ধরার যন্ত্র তৈরির কাজে ব্যাস্ত থাকেন।তল্লা ও কালী জিরা বাশঁ দিয়ে এ চাই তৈরি করা হয়। একটি বাশঁ দিয়ে ৭ থেকে ৮টি চাই তৈরি করা হয়। তবে একজন কারিগর একদিনে ৫ থেকে ৬ টির বেশি চাই তৈরি করতে পারে না। বাজারে এক পিস চাই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এসব চাই তৈরির জন্য একটি বাশঁ কেনেন ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে।
চাই তৈরির একজন কারিগর জানান, তার পরিবারের সবাই মিলে বর্ষা মৌসুমের ৬ মাস চাই তৈরির কাজ করেন। বাশঁ কেনা থেকে শুরু করে সর্ম্পূন চাই তৈরি করতে যে কষ্ট আর খরচ হয় সে তুলনায় লাভ বেশি হয়না। তবে এ শিল্প এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
এ দিকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মে মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত প্রতিটি মাছের পেটেই ডিম থাকে। এই মা মাছ না ধরার জন্য জেলেদের বিভিন্ন প্রকার সচেতননতামূলক প্রশিক্ষান প্রদান করা হয়েছে। মাছ শিকারে জেলেরা বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র বা জাল ব্যবহার করেন। এগুলো দমনে উপজেলা প্রসাশনের সহোযোগীতায় মাঝে মধ্যেই ভ্র্যম্যমান আদালত পরিচালনা করাও হচ্ছে।