কালিয়ার মাউলি পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ কক্ষে পর্দা টানিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

news paper

জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া

প্রকাশিত: ২৫-৬-২০২৫ দুপুর ৪:৫২

6Views

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মাউলি ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ কক্ষে চলছে  শিক্ষার্থীদের পাঠদান। জানালা-দরজা বিহীন আধা পাকা টিন সেট ঘরে পর্দা লাগিয়ে চলছে ক্লাস। রোদ-বৃষ্টি ঠেকাতে টানানো হয়েছে কাপড়ের পর্দা। বৃষ্টি নামলেই বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে যায় পাঠদান। মেঘের গর্জনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বুক কেঁপে উঠে।  বর্ষা নামলে ভিজে যায় বই-খাতাসহ পরিহিত স্কুল পোশাক।  এ বিদ্যালয়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পাঠদানে অংশগ্রহণ করছে। এভাবেই অবহেলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল জেলায় ১৩১ টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে । তার মধ্যে কালিয়া উপজেলায় ৩১ টি, সদর উপজেলায় ৬৪ টি  এবং লোহাগড়ায় ৩৬ টি বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১২ টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে শিক্ষার্থীদের  পাঠদান করানো হচ্ছে।  ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় গুলোর মধ্যে কালিয়া উপজেলার  মাউলি পঞ্চপল্লী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওয়াগ্রাম,মধুমতি ও জয়নুল আবেদন নুরুন্নাহার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সদর উপজেলায়- সিআরএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মূলদাইড় তালতলা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ,বি আর ডি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দেবিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিয়াডাঙ্গা নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও শেখহাটি নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে। 

মাউলি পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  ৯ম শ্রেণির ছাত্র দীপ বিশ্বাস বলেন, আমাদের বিদ্যালয় কক্ষের জালনা দরজা নাই। বৃষ্টি নামলে বই খাতা ভিজে যায়। ঝড় বা অতিমাত্রায় বাতাস ছাড়লে আমরা আতঙ্কে থাকি। মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করতে পারি না। কাপড়ের পর্দা দিয়ে রোদ বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। যখন বিদুৎ চমকায় তখন ভয়ে বুক কেঁপে উঠে। সরকারের কাছে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি করছি। 

 অভিভাবক সবুজ দাস পাঠদানবলেন, বিদ্যালয়ের কক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায়  সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দুঃচিন্তায় থাকি। 

মাউলি পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.মিজানুর রহমান বলেন,আমাদের অদম্য ইচ্ছা শক্তি থাকা সত্ত্বেও শ্রেণি কার্যক্রম সঠিক ভাবে করতে পারছি না। কারণ পাঠদানের কক্ষ গুলো জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করছি। 

  জেলা শিক্ষা অফিসার মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন,নড়াইল জেলায় বেশ কয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জরাজীর্ণ হয়ে আছে। বিশেষ করে মাউলি পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। বিদ্যালয়টিতে পর্দা দিয়ে ক্লাস করানো হয়।  শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদফতরে নাম দিয়েছি। শিক্ষা অধিদফতর থেকে এসব বিদ্যালয়ে বরাদ্দের কোন খবর এখনও পাইনি। তবে  বিদ্যালয় গুলো সংস্কারের জন্য স্থানীয় বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত । 


আরও পড়ুন