বিএনপিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগে আগ্রহী চীন

news paper

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫-৬-২০২৫ দুপুর ১:২৩

15Views

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির বৈদেশিক যোগাযোগ মন্ত্রী লিউ চিয়ান ছাও গত ২৪জুন, মঙ্গলবার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সফররত একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাতে লিউ চিয়ান ছাও বলেন, চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘস্থায়ী। চীন সবসময় বাংলাদেশকে তার প্রতিবেশী কূটনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাখে এবং বাংলাদেশের প্রতি চীনের সুপ্রতিবেশীসুলভ ও বন্ধুত্বপূর্ণ নীতির উচ্চ মাত্রার স্থিতিশীলতা ও ধারাবাহিকতা রয়েছে। চীন বাংলাদেশের ভালো প্রতিবেশী, ভালো বন্ধু এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের ভালো অংশীদার হতে চায়। 

সম্প্রতি, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং সফররত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক আস্থা বাড়ানো এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যেকার গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য বাস্তবায়ন করতে, উন্নয়ন কৌশলগত সংযোগ জোরদার করতে, বাস্তবভিত্তিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে, উচ্চ মানের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ যৌথভাবে নির্মাণ করতে এবং দুই দেশের সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে একটি নতুন পর্যায়ে উন্নীত করতে আগ্রহী।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ একটি রূপান্তরের গুরুত্বপূর্ণ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। চীন বাংলাদেশি জনগণের নিজেদের উন্নয়নের পথ বেছে নেওয়ার অধিকারকে সম্মান ও সমর্থন করে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ জোরদার করতে এবং রাজনৈতিক আস্থা বাড়াতে ইচ্ছুক।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের প্রতিটি সরকার চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের নীতি মেনে চলে এবং দৃঢ়ভাবে এক চীন নীতি অনুসরণ করে। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতিতে চীন যে বিরাট সাহায্য ও সমর্থন দিয়ে আসছে, তার জন্য তাঁর দেশ কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ আশা করে, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অবকাঠামো, কৃষি, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা, ভাষা এবং কারিগরি কর্মী প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে চীনের সাথে সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে, যাতে দুই দেশের জনগণ আরও বেশি উপকৃত হতে পারে। বিএনপি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে বিনিময় জোরদার করতে, সংস্কার ও উন্নয়নে চীনের অভিজ্ঞতা থেকে সক্রিয়ভাবে শিক্ষা নিতে, নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় ও সহযোগিতা প্রসারে আগ্রহী।

সূত্র : শুয়েই-তৌহিদ-সুবর্ণা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।


আরও পড়ুন