চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় স্টপেজের দাবিতে ট্রেন থামিয়ে অবরোধ
প্রকাশিত: ২৪-৬-২০২৫ বিকাল ৫:২
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হল্ট স্টেশনে ঢাকাগামী যাত্রীবাহি সুন্দরবন ও খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার দুপুর ১ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত দর্শনা রেলস্টেশনে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত রেলযাত্রী সহ দর্শনা-হিজলগাড়ি সড়কে চলাচলরত যান বাহন। আন্দোলনকারীরা জানান, ঢাকা-খুলনার মধ্যে চলাচলকারী সবকটি ট্রেন দর্শনা স্টেশনে দিনের বেলায় স্টপেজ দিলেও রাতের বেলায় সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস যাত্রা বিরতি নেই। এতে দর্শনা ও আশপাশের এলাকার মানুষের রাতের বেলায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এজন্য দীর্ঘদিন ধরে দর্শনায় দুটি ট্রেনের স্টপেজের দাবি জানানো হচ্ছে। বারবার আশ্বাস দিলেও কোন সমাধান মেলেনি। এদিকে ট্রেন অবরোধের খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্র ও দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর। তবে আন্দোলনাকরীরা তাদের আশ্বাস মানেনি। ফলে ইউএনও এবং ওসি ফিরে যান। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ৭ দিনের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা। টানা ৩ ঘণ্টা পর চালু হয় রেল যোগাযোগ। চুয়াডাঙ্গা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্মআহ্বায়ক তানভীর অনিক ও আবিদ হাসান রিফাত জানান, দেশের অন্যতম ভারী চিনি শিল্প কারখানা, আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট, রেলবন্দর ও সীমান্ত এলাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান দর্শনা। ১৮৬২ সালে প্রথম রেলপথ ও স্টেশন হয় দর্শনায়। এখানে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ আসা-যাওয়া করে। এ শহর থেকে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় যেতে হয় দর্শনার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এই সমৃদ্ধ এলাকাতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ট্রেনের যাত্রা বিরতি নেই তা কোনভাবে মানবোনা। অবিলম্বে এখানে ঢাকাগামী সুন্দরবন ও খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ দিতে হবে। না হলে আগামিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।