সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক আহত
প্রকাশিত: ১৯-৬-২০২৫ রাত ১০:৪৫
ঝালকাঠির রাজাপুরে একটি জমির তদন্ত চলাকালে ভিডিও ধারণের সময় মানবকন্ঠের রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক অহিদ সাইফুলের উপর হামলা করেছে স্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ী নাসির হাওলাদার ওরফে পাইপ নাসির ওরফে ইয়াবা নাসির ও তার সহযোগীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারটার দিকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় জাহাঙ্গীর হাওলাদার,মাকসুদা আক্তার ,ঝুমুর অক্তার ও লাইসা ইসলাম লিয়া নামে আরও চারজন আহত হয়। অহিদ সাইফুল বর্তমানে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানায়, ময়না বেগম নামে এক নারীর জমি জোর পূর্বক তার ভাইয়ের ছেলেরা ও একই বাড়ির লোকজন মিলে কয়েকদিন আগে দখল করে। এরপর ঐ নারী আদালতে মামলা করলে আদালত স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা ভ‚মি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সরেজমিন তদন্ত করতে আসেন এবং উভয় পক্ষকে ডেকে ঘটনার বিবরণ শুনেন। এসময় রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক অহিদ সাইফুল ও ঢাকা প্রতিদিনের সাংবাদিক সবুজ হোসেন ঘটনাস্থল থেকে দূরে দাড়িয়ে ভিডিও করছিলেন। অহিদকে ভিডিও করতে দেখে পাইপ নাসিরের সহযোগী সাইদুল প্রথমে দৌড়ে এসে অহিদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে । মোবাইল ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হলে নাসিরের অপর সহযোগীরা আব্বাস,সিয়াম,ইসা,মুসা,বারেক,হেমায়েত,রমিও ও পলাশসহ দশ বারো জন এসে প্রথমে কিল, ঘুষি দিয়ে পরে লাঠি দিয়ে পেটানো শুরু করে। এসময় অহিদ সাইফুলকে বাঁচাতে এসে জাহাঙ্গীর হাওলাদার,মাকসুদা আক্তার,ঝুমুর অক্তার ও লাইসা ইসলাম লিয়া নামে আরও চারজন আহত হয়। এসময় ঢাকা প্রতিদিনের সাংবাদিক সবুজকে আঘাত না করলেও তাকে প্রান নাশের হুমকী দেয় ইয়াবা নাসির বাহিনী।
আহত লাইসা লিয়া জানায়,অহিদ ভাইকে মারতে দেখে আমি প্রথমে ছুটে আসি। এসময় হামলাকারীরা আমার গায়ে হাত দেয় ও আমাকে পিটিয়ে আহত করে।
সাংবাদিক অহিদ সাইফুল জানান,ইয়াবা নাসির আমাদের উপর হামলা করতে পারে এই আশংকা করে অনেক দূরে দাড়িয়ে তদন্তের ভিডিও করছিলাম। আমি ভিডিও করেছি এই দোষে আমাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাঈল হোসেন বলেন, সাংবাদিককে থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।