খিলগাঁও বনশ্রীতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে জমি দখল ও চাঁদা দাবির অভিযোগ
প্রকাশিত: ১৮-৬-২০২৫ বিকাল ৫:০
রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে জমি দখল, ভাড়া আত্মসাৎ এবং চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া দাবি করেছেন, মশিউর রহমান ও তার সহযোগীরা তার মালিকানাধীন একটি প্লট জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন এবং নিয়মিত ভাড়া আদায় করছেন।
রেজাউল ইসলাম বলেন, "আমি বৈধভাবে এই জমি ক্রয় করেছি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মশিউর রহমানের লোকজন আমার অনুমতি ছাড়াই ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে মাসিক ভাড়া তুলে নিচ্ছে। গত ৪ জুন ২০২৪ দুপুর সাড়ে বারোটায় আমি নিজে সেখানে গেলে মশিউর ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা উপস্থিত হয়ে দুর্ব্যবহার করে এবং জানায়, প্রতি মাসের ভাড়া তারাই নেবে। পাশাপাশি আমাকে জানানো হয়, জমিতে কোনো নির্মাণ করতে হলে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। আমি অস্বীকৃতি জানালে মশিউর রহমান প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।”
ভুক্তভোগীর দাবি, মশিউর রহমানের সঙ্গে কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ রিনী পারভীন (৪৮), সোলাইমান হোসাইন (৪৫), রফিক (৪০) এবং বেলায়েত হোসেন (৫৮) সরাসরি জড়িত রয়েছেন। তারা এলাকায় অস্ত্রধারী একটি সন্ত্রাসী বাহিনী পরিচালনা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মশিউর রহমান অবসরপ্রাপ্ত একজন কনস্টেবল হয়েও বনশ্রীতে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন এবং নানা স্থানে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তিনি সাবেক র্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং সেই প্রভাব কাজে লাগিয়ে তিনি বছরের পর বছর বিতর্কিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে মশিউর রহমানকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই জমি কে. এম. গোলাম কবিরের জায়গা। আমরা তার তৃতীয় স্ত্রীর কাছ থেকে ১০ কাঠা জমি কিনেছি এবং কিছু অংশ ওয়ারিশদের কাছ থেকেও নিয়েছি। আমাদের কাছে জমির কাগজপত্র আছে।”
অবশ্য রেজাউল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, জমি দখল চক্রটি ভুয়া দলিল প্রস্তুত করে এবং স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জমি দখল করে রেখেছে।
এলাকাবাসীর মধ্যে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে তার জমির দখল ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন।