কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে
আউটসোর্সিং এ নিয়োগেরনামে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা
প্রকাশিত: ১৭-৬-২০২৫ বিকাল ৬:৮
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন হার্টিকালচার সেন্টারে সারা দেশে আউট সোর্সিং পদ্ধতি ২৮০জন জনবল নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়। এর মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ সহ অধিপ্তরের অনেকের নামে টাকা নিয়ে চাকরি না দেয়ার অভিযোগ উঠছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনিয়মের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণের মহাপরিচালক আউট সোর্সিং এর কাজ দেয় “ট্রাস্ট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিঃ” নামে আউটসোর্সিং এর একটি কোম্পানিকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে সাউন্ড আছে, অনেক টাকার বিনিময় তিনি এই কাজ ট্রাস্ট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল ইসলামকে দিয়েছেন। এই সুবাধে এমডি নুলুল ইসলাম এবং তার ম্যানেজার আক্তার হোসেন প্রত্যেকটি পদের বিনিময় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। শুধু তাই নয় অধিদপ্তরের অনেকেই চাকরি দেয়ার নামে চাকরি প্রত্যোশীদের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করছেন।
কিশোরগঞ্জের সাইফুল ইসলাম নামে চাকরি প্রত্যোশি বলেন, আমি টেকনিশিয়ান হিসাবে চাকরি পাওয়ার জন্য এক কর্মকর্তার কাছে দুই লাখ টাকা দিয়েছি কিন্তু তিনি এখনো আমার চাকরি দিতে পারেনি। টাকাও ফেরত দেননি। দেখা যাক কী হয়। এ রকমের বহু মানুষের কাছ থেকে কোম্পানি ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা টাকা নিয়েছেন।
ট্রাস্ট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিঃ কোম্পানির ম্যানেজার আক্তার হোসেন ইলেট্রিক্যাল পদে ৩ লাখ টাকা, পরিষ্কার পরিছন্ন কর্মী কাছ থেকে ২লাখ টাকা এবং পাম্প চালকের কাছ থেকে আড়্ইা লাখ টাকা করে নিচ্ছে। সাজদিস আলম নামে এক চাকরি প্রত্যাশী বলেন, চাকরির জন্য আক্তার হোসেনের কাছে গেলে তিনি আমার কাছে ২লাখ টাকা দাবী করেন পরে আমি তাকে অনুরোধ করলে তিনি কিছু টাকা কম নিতে রাজী হন। ওই সময়ের কথাপোকথন এর রেকার্ড আমার কাছে মোবাইলে রয়েছে। এ বিষয় আক্তার হোসেনের সাথে কথা কললে ,তিনি বলেন আমি আর্মি লোক, ডিপিডিসিতে চাকরি করছি। মানুষের কাছে থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারনা করছেন বললে, তিনি বলেন আমি এ কম্পানির একটি সাইড নিয়ে কাজ করছি, আমি এ কোম্পনির ম্যানেজার না, টাকা নিচ্ছে এ কোম্পানির এমডি নুরুল ইসলাম ও ম্যানেজার। এ বিষয় ট্রাস্ট সিকিউরিটি সার্ভিসস লিঃ এর এমডি নুরুল ইসলামকে বার বার ফোন দিলে এবং খুঁদে বার্তা পাঠালে তিনি ফোন রিসির্ভ করেননি
এ কৃষি সম্প্রসারণের মহাপরিচাল মো. সাইফুল আলমকে বার বার ফোন দিলেও তিনি তা রিসির্ভ করেননি। তবে এ বিষয় কৃষি সম্প্রসারণের পরিচালক(প্রসাশন ও অর্থ) মো. হাবিবউল্ল্হ্ া বলেন, ট্রাস্ট কোম্পানির লোকজন বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়ার ব্যাপরটা আমি শুনছি, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।