লোহাগড়ায় পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তে সেনাবাহিনী

news paper

পিকুল আলম, লোহাগড়া

প্রকাশিত: ১৭-৬-২০২৫ দুপুর ২:৪১

230Views

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (বিআরডিবি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং দায়িত্বে অবহেলার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, তিনি ব্যাচেলর হয়েও দীর্ঘ চার বছর ধরে সরকারি ফ্যামিলি কোয়ার্টারে অনুমতি ছাড়াই বসবাস করছেন। এতে করে সরকার প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার টাকার ভাড়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু রিয়াদ বলেন, অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী সরকারি আবাসন বা সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারেন না। কেউ যদি তা করে থাকেন, তবে অতীতের সম্পূর্ণ ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে এ বিষয়টি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তদন্তাধীন রয়েছে বলেও ইউএনও জানান।

অভিযোগ রয়েছে, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান মিয়া বিতর্কিত নারী অফিস সহায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে একই ভবনের নিচতলায় পাশাপাশি ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন। এর আগে ওই নারী কর্মচারীকে একই ভবনের এক কর্মকর্তার সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিতর্কে জড়াতে দেখা যায়, যা স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল।

এদিকে, অফিস সহায়ক মোসা. রহিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন,ঈদের আগের দিন আমি বারবার অনুরোধ করার পরও আমার বকেয়া বেতন-ভাতা পাইনি। উনি (কামরুজ্জামান মিয়া) কোনো কথা না বলে অফিস ত্যাগ করেন। আমি ১৭ বছর ধরে চাকরি করছি, কিন্তু এই কর্মকর্তার অধীনে সবচেয়ে অবহেলিত বোধ করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, “আমি সরকারি একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলায় অনুমতি ছাড়াই অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে অবস্থান করছি। আর রহিমা বেগমের বেতন অফিস বরাদ্দ অনুযায়ী হয়। এ বছর বরাদ্দ কম থাকায় কিছুটা দেরি হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিয়মিত অফিসে উপস্থিত থাকেন না, সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং নিজের কর্তৃত্ব ফলিয়ে দাফতরিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটান।

এ সব বিষয়ে স্থানীয়রা যথাযথ তদন্ত এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।


আরও পড়ুন