নড়াগাতীতে চাঁদা না দেওয়ায় রেকর্ডীয় সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

news paper

জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া

প্রকাশিত: ১৩-৬-২০২৫ বিকাল ৫:২৫

17Views

নড়াইলের নড়াগাতী থানার জয়নগর ইউনিয়নের দেবদুন পূর্ব পাড়ায় চাঁদা না দেওয়ায় রেকর্ডীয় জমি জোরপূর্বক দখল ও শতাধিক গাছ কাঁটার অভিযোগ উঠেছে সিদ্দিক শেখ (৫৫) ও তার ছেলে নবীর গংদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে 

হয়রানি ও জীবন নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। 

১২ জুন (বৃহস্পতিবার)  সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী  শেখ মুঞ্জুর আলী বলেন, ডুমুরীয়া- দেবদুন,  ডুমুরীয়া- রামনগর ও ডুমুরীয়া জয়নগরসহ ৩ মৌজায় শরিকদের ভাগবাটোয়ারা করে দেওয়ার পর আমার বাবা শেখ ইউসুফ আলী প্রায় ১২ বিঘা সম্পত্তির রেকর্ড পেয়েছেন। তিনি বৃদ্ধ হওয়ায় একমাত্র ছেলে হিসাবে আমি সম্পত্তি দেখাশোনা করি।

 বিগত আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমার বাবার চাচাত ভাই সিদ্দিক শেখ ও তার ছেলেরা নবীর শেখ (৩৩), সবুর শেখ(৩০), হামিম শেখ (২৪) ও মৃত রুস্তম শেখের ছেলে আব্দুর রহমান শেখ (৭০), চাঁন মিয়া শেখ (৬৬) ও তোতা মিয়া শেখ (৬২) আমার নিকট ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাদের ৫ বিঘা জমি জোর করে ভোগদখল করে নেয় এবং শতাধিক গাছপালা কেটে নিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ নিয়ে কয়েকবার গ্রাম্য শালিস হলেও তারা বিভিন্ন বাহানায় শালিসে অনুপস্থিত থেকে যায়। সর্বশেষ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী আইয়ুব হোসেনের কাছে আবেদন দিলে রায় দেওয়ার জন্য  ২৫ হাজার টাকা নেয় কিন্তু বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি প্রতিপক্ষের কাছ থেকেও চেয়ারম্যান ঘুষ নিয়ে রায় স্থগিত করে রেখেছেন। আমি আমার বাবার রেকর্ডীয় জমি ফেরত চাই এবং ভূমিদস্যুদের দেওয়া মিথ্যা মামলায় হয়রানির বিচার চাই। 

এ বিষয়ে স্থানীয় বীর মুক্তিযুদ্ধা সোহরাব হোসেন, বীর, মুক্তিযুদ্ধা মোক্তার শেখ,  শেখ আবু বক্কার, অপর শরিক নাসির উদ্দিন শেখ বলেন, তারা শেখ মুঞ্জুর আলীর জমি জোরপূর্বক দখল করে খাচ্ছে, গাছও কেঁটে নিয়েছে। এ বিষয়ে অনেক গ্রাম্য শালিক হলেও দীর্ঘ স্থায়ী কোন সমাধান হয়নি। আমরা চাই নিরীহ মানুষ শেখ মুঞ্জুর আলী যেন তার জমি ফেরত পায় এবং সর্বোচ্চ আইনি সহয়তা পায়।

অভিযুক্ত সিদ্দিক শেখের বাড়ীতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জয়নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আয়ুব হোসেনের সাথে কথা হলে ঘুষ নেওয়া বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি উভয় পক্ষের মনোনীত  লোকের সম্মতিতে ৬২ কাগজ অনুযায়ী একটি রায় তৈরী করি। কিন্তু মঞ্জুর শেখ হাল রেকর্ড মোতাবেক রায় চায় এবং ওই রায় মনবেনা বলায় সমাধান হয়নি।

 
 

আরও পড়ুন