ব্রহ্মপুত্র'র করালগ্রাস কেড়ে নিল অর্ধশতাধিক পরিবারের ঈদ আনন্দ
প্রকাশিত: ৫-৬-২০২৫ দুপুর ৪:১০
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আকর্ষিক বন্যায় তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙ্গনের ফলে গৃহহীন হয়ে পড়েছে অর্ধশতাধিক পরিবার। ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে ফসলি জমি, আরো শতাধিক বসতবাড়ি ও সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা।
স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নদী তীরবর্তী মানুষগুলো পরিবার-পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে এই বৃষ্টি বাদলে চরম বিপদে পড়বে।
বুধবার (৪জুন) বিকেলে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের শাখা হাতি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকে তাদের ঘরের বিছিন্ন অংশ ও আসবাবপত্র নিয়ে নিরাপদে চলে যাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
স্থানীয় শাহজালাল মিয়া জানান, আমাদের এলাকার একমাত্র কমিউনিটি ক্লিনিক, বিদ্যুৎ এর খুটিসহ শত শত একর জমির ফসল নদীতে চলে যাওয়ার উপক্রম। তিন দিনে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে এই এলাকার নুর আলম, রাঞ্জু মিয়া, ছয়েন উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, জারের হোসেন, মমিনুল ইসলাম,সুজা মিয়া, সফিয়াল হক সহ অর্ধশতাধিক পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে আসবাবপত্র নিয়ে খুঁজছে একটু নিরাপদ আশ্রয়, হারিয়ে গেছে তাদের ঈদ আনন্দ।
ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার এলাকার ৫০/৬০ টি বসতবাড়ি, মক্তব, মাদ্রাসা, কবর স্থান, মসজিদ ও শত-শত একর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। তারা এখন খুবই অসহায়।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন, ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি আপাতত তারা ভাঙ্গন ঠেকাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, ভাঙ্গনের খবর পেয়েছি, ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ পাঠানো হচ্ছে।