রায়গঞ্জে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
প্রকাশিত: ৪-৬-২০২৫ দুপুর ৩:২৮
ঈদুল আজহার আর মাত্র দুই দিন বাকি। এরই মাঝে রায়গঞ্জ উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট।
ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতারা ভিড় করছেন পশুর হাট গুলোতে। প্রতিদিন পশুরহাট গুলোতে প্রচুর গরু ওঠতে দেখা গেছে। প্রতিটি হাটে ব্যাপক পরিমাণ দেশী গরুর আধিপত্য নজরে পড়ার মতো। পাশাপাশি রয়েছে বিদেশী গরুও।
বিক্রেতারা জানান, এখন কোরবানির জন্য ভারত, মিয়ানমার, ভুটান থেকে দেশে গরু-মহিষ কম আসছে। ফলে এখন কোরবানির বাজার পুরোপুরি দেশীয় পশু নির্ভর হতে যাচ্ছে। এতে আগামী দিনে খামারিয়া গরু পালনে আরও উৎসাহী হবে বলে মনে করছেন তারা।
বুধবার (৪ জুন) রায়গঞ্জ পৌর সভার ধানগড়া গরুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পছন্দের পশুটি কিনতে অনেকেই এসেছেন হাটে, কেউ একা এসেছেন, কেউ এসেছেন দলবেঁধে। যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না এ হাটটিতে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের এই উপস্থিতি যেন ঈদ উৎসবেরই অংশ।
শুধু এই গরুর বাজার নয় উপজেলার প্রতিটি হাটেই পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। দাম যাই হোক শেষ পর্যন্ত পছন্দের পশুটি কিনে বাড়ি ফিরছেন অনেক ক্রেতা, আবার অনেকেই দাম বেশির কারণে কিছুটা অপেক্ষা করার চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
বাজারে গরু ক্রয় করতে আসা মো. গোলাম মুক্তাদির জানান, যা দেখলাম গরুর দাম সহনীয় পর্যায়েই আছে।
রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমির হামজা দৈনিক মানবকন্ঠকে বলেন, এ বছর পশুর সংখ্যা বেশি এবং সবগুলোই স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। খামারিদের সঠিক দামে বিক্রির পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। রায়গঞ্জে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার ৩'শ ৭৩টি খামার রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, হাট গুলোর নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের মোবাইল টিম কাজ করছে। জাল নোট ঠেকানোর জন্য পুলিশের নজরধারী রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাপারীদের পশু আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও পুলিশের বাড়তি নজরধারী রয়েছে।