লাকসামে টুংটাং শব্দে কামার সম্প্রদায়ের চোখে নেই ঘুম

news paper

দেবব্রত পাল বাপ্পী, লাকসাম

প্রকাশিত: ১-৬-২০২৫ দুপুর ২:৩৯

75Views

আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে লাকসাম উপজেলায় বিভিন্ন হাটবাজারে জীবিকার তাগিদে দরিদ্র কামার শিল্পীরা বর্তমানে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে। তবে প্রকৃতি বর্ষার আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে ঈদুল আযহা উপলক্ষে নানান পণ্যের বাজার পাগলা ঘোড়ার মত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অপরদিকে গরু খামারী ও গরু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা বেড়েই চলছে। 
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, এ অঞ্চলে কামার শিল্পীদের স্থানীয় ভাবে তৈরী করা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোরবানীর পশু জবাই ও মাংস টুকরা করতে ওইসব হাতিয়ার প্রয়োজন এটাই স্বাভাবিক। ফলে দা, বটি, চাপাতি, ছুরি, চাকু ও ধামা তৈরীসহ ওইসব পুরানো দেশীয় অস্ত্রে শান দিতে ইতিমধ্যেই ব্যাস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের কামার শিল্পীরা। দিনরাত চলছে তাদের কোরবানীর পশু জবাই যন্ত্রপাতি তৈরীর এ কাজ। সারাক্ষণ যেন ঢুং, ঢাং ও টুং টাং শব্দে মুখোর কামার দোকানের আশেপাশের এলাকা। এ অঞ্চলে বিশাল শিল্পের সঙ্গে জড়িত কামার সম্প্রদায়ের লোকজন লৌহ ও ষ্টীলসহ বিভিন্ন ধাতবদ্রব্য দিয়ে পশু জবাইয়ের  প্রয়োজনীয় ওইসব দেশীয় হাতিয়ার তৈরীর মাধ্যমে পূর্ব পুরুষদের এ পেশা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন তারা।   
স্থানীয় কামার শিল্পীদের একটি সূত্র জানায়, লাকসাম উপজেলার সর্বত্র কোরবানী ঈদ আসলে এ পেশার মানুষদের একটু ব্যস্ততা বেড়ে যায়। অন্য সময় অর্থ্যাৎ বছরের বেশির ভাগ সময় অলস ভাবে কাটাতে হয় তাদের। এবার ঈদে বটি, দা, বড় ছুরি ও ধামা তৈরীতে ৩ থেকে ৪’শ টাকা করে মুজুরী নেয়া হচ্ছে। আর তৈরী করা এসব সামগ্রী বিক্রি করবে ৫’শ থেকে ৬’শ টাকায়। গরু কাটার ছোট ছুরি বিক্রি  ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। তবে গরু কাটার ছোট ছুরির চাহিদা একটু বেশী রয়েছে। এবারের ঈদে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ওইসব মালামাল তৈরী করতে যেসব মালামাল প্রয়োজন তা বাজারে উচ্চ মূল্য। ফলে তৈরীকৃত ওইসব দেশীয় হাতিয়ার বিক্রি করতে হবে বেশি দামে। আগের মত এখন আর নতুন করে মানুষ ওইসব পন্যে কিনতে চায়না কারন ঘরে থাকা পুরানো হাতিয়ারগুলো পুনরায় শান দিয়ে ধারালো করে নিচ্ছে বেশির ভাগ লোকজন। 
নুপুর কর্মকার জানায়, ঈশ্বর কৃপায় ভালো কাজ পাচ্ছি। আমি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এ পেশায় জড়িত। কাজের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী বুধবার থেকে বেচাবিক্রি আর বাড়বে। রাতদিন ২৪ ঘন্টা কাজ করছি। এছাড়া আমি কাজের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার সহকারী একজন রেখেছি। 


আরও পড়ুন