বিদ্রোহী হলের ডাইনিং বেসিনে নোংরার রাজত্ব, রুচির রাজ্যে অন্ধকার
প্রকাশিত: ৩০-৫-২০২৫ দুপুর ৪:১৮
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হল—যার নামেই একধরনের গর্ব, সাহস আর প্রতিরোধের স্পন্দন জাগে। কিন্তু সেই হলের ডাইনিংয়ের এক কোণে, একটুকরো বেসিন যেন হয়ে উঠেছে অপবিত্রতার প্রতীক। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস—সেই বেসিনে জমেছে ময়লা, পচে গেছে পানি, আর বাসা বেঁধেছে পোকামাকড়ের রাজত্ব।
যেখানে ছাত্রদের হাত ধোয়ার কথা, সেখানে এখন ভেসে বেড়ায় মাছি, আরশোলা আর জলের গন্ধে বিমর্ষ করে তোলে মন। খাওয়ার আগে কেউ যদি সাহস করে হাত ধোতে যায়, ফিরে আসে ক্লান্ত, রুচিহীন এক মুখ নিয়ে।
সেতু নামের একজন ছাত্র বলেন, “খাবারের স্বাদ বোঝার আগেই বেসিনের দৃশ্যেই মন বিষিয়ে যায়। প্রতিদিন একই দৃশ্য, একই গন্ধ। বিদ্রোহী হলে এসে যেন বিদ্রোহ করতে হয় নিজের ক্ষুধার সঙ্গেই।”
এই অব্যবস্থা যেন কেবল ময়লা নয়, বরং পুরো হলের সৌন্দর্যবোধ, পরিচ্ছন্নতার চেতনারও এক চরম ব্যর্থতা। যাদের দায়িত্ব, তাদের উদাসীনতা যেন স্পষ্ট এই বেসিনের প্রতিটি জলধারায়।
ডাইনিং ম্যানেজার আব্বুল জব্বার বলেন, "আমি তো চারটা বেসিন পরিষ্কার করাই। বাকিরা মেসের ওরা কেন করায় না। এটা তো অনেক দিন ধরেই এমন। পরিষ্কার করার লোকও আসে না।"
হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সদুত্তর মেলেনি। তবে শিক্ষার্থীরা চান, বিদ্রোহ শুধু নামে নয়, হোক কাজেও—এবার বিদ্রোহ হোক নোংরামির বিরুদ্ধে, আর ফিরে আসুক রুচির রাজত্ব। বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, "পরিষ্কার না করলে তোমরা তাড়িয়ে দাও। আমিও তো বলে বলে ক্লান্ত। দুই দিন আগেও ডেকে নিয়ে বললাম। আমার নির্দেশনা কেউ মানে না।"