জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত: ২৮-৫-২০২৫ বিকাল ৫:৭
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।
বুধবার (২৮ মে)শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী সভাটি সকাল ১০টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কৃতিসন্তান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম নিজ বাসভবনের সামনে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আফতাব বাচ্চুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, নোয়াখালী জেলা মহিলা দলের সভাপতি ভিপি বেগম শাহানা।
যুবদল নেতা গোলাম হায়দার শাহীনের সঞ্চালনায় দোয়া পরিচালনা করেন,বসুরহাট ফাজিল মাদ্রাসা ভাইস-প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল কাদের হেলালি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতা এম আনিসুল হক, কাজী একরামুল হক,একরামুল হক মিলন মেম্বার, আবু নাছের মাস্টার, হারুন ভূইয়া, আলমগীর মিয়া, ধান শালিক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া, নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মহিন উদ্দিন ছোটন, যুবদল নেতা মেহেদী হাসান টিপু, হাজী ইব্রাহিম, ছাত্রদল নেতা আজিজ আযমীর সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এসময়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য ও সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনের সম্ভাব্য বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্জ্ব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৮ শে মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কোম্পানীগঞ্জে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সাথে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশি- বিদেশি চক্রান্ত কারীরা কখনো মেনে নিতে পারেনি। এই চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্যদিয়ে দেশবাসী একজন মহান দেশপ্রেমিককে হারায়। তবে চক্রান্তকারীরা যতোই চেষ্টা করুক, কোন ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ককে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলেই তিনি বিস্মৃত হন না, বরং নিজ দেশের জনগনের হৃদয়ে চিরজাগরক হয়ে অবস্থান করেন।
ফখরুল ইসলাম আরও বলেন,শ্রদ্ধার সাথে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, রণাঙ্গনের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেড ফোর্সের অধিনায়ক, মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টর কমান্ডার, বাংলাদেশের সাবেক সফল সেনা প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, আধুনিক ও স্বনির্ভর বাংলাদেশের রূপকার, সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা, মুসলিম বিশ্বের অন্যতম নেতা ও বিশ্ব নন্দিত নেতা, শ্রদ্ধেয় শহীদ জিয়াউর রহমান (বীরউত্তম) এর ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে উনার কর্মময় জীবনের প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা, মহান আল্লাহ্ তায়ালা জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুক, উনার পরিবারের সহায় হোক।