ঋক দে বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ভোলা বোরহান উদ্দীন,কুঞ্জের হাট এলাকার অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া এক কিশোর

news paper

বাদল রায় স্বাধীন, সন্দ্বীপ

প্রকাশিত: ২৮-৫-২০২৫ দুপুর ১:৫৯

5Views

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া ১২ বছর বয়সের এক কিশোর ঋক দে। যে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতায় নৃত্য ও সঙ্গীতে ২টি স্বর্নপদক অর্জন করেছে। শুধু তাই নয় স্কাউট প্রতিভা অন্বেষণ  প্রতিযোগিতায় সঙ্গীতে  হয়েছে  দেশের সেরা ।এছাড়াও কবিতা আবৃত্তি,কারাতেও অভাবনীয় সাফল্যের কারনে পেয়েছে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার।বাদ্যযন্ত্রে রয়েছে তার চমৎকার দখল তাই বাদ্যযন্ত্রেও জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে সে ।তবলা হারমোনিয়াম ইত্যাদি তার নখদর্পনে।অভিনয়েও ও কম যায়না সে,স্কুল ভিত্তিক প্রতিযোগিতা, মঞ্চনাটক,চৈত্রের ঢাকিতে সঙ সাঁজা সবটাতে যেন থাকতে হবে তাকে।  তার পাশাপাশি রয়েছে তার আরেক বিরল প্রতিভা। হিন্দু ধর্মীয় যে কোন অনুষ্ঠানে কয়েক ঘন্টা ধরে তার গীতা ও ভাগবত পাঠ, সেগুলো বিশ্লেষন,ধর্মীয় বক্তব্য রাখা ইত্যাদি ইতিমধ্যে লাখো মানুষকে চমৎকৃত করেছে। বিভিন্ন জেলায় ভাগবতীয় আলোচনায় অতিথি হিসাবে ডাক পড়ে এই শিশু পাঠকের। ইতিমধ্যে ভোলা জেলার প্রয়াত সাধক পুরুষ অচ্যুতানন্দ ব্রক্ষ্মচারী বা অনিল বাবাজির সমাধী মন্দিরে সে এখন নিয়মিত পাঠক হিসাবে সবার আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে।তার আলোচনা শুনে ইহজাগতিক শান্তি ও পরকালের পাথেয় মস্তিস্কে  নিয়ে বাড়ি ফেরে ভক্তরা।তার এই বিরল প্রতিভাকে বাংলাদেশ সহ বহিঃবিশ্বে তুলে ধরতে আড়ালিয়া অনিল বাবাজির সমাধী মন্দিরের সভাপতি রুপন সাধু ও সহ-সভাপতি  অরবিন্দু দে টিটু এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান তারা। 

এই বহুগুনে গুনান্বিত বা প্রতিভার অধিকারী ঋক দে এর পিতার নাম প্রবল চন্দ্র দে,মাতা সুবর্না রাণী সমদ্দার।ঋক দে ভোলা জেলার বোরহান উদ্দীন উপজেলার কুনজের হাট দক্ষিণ টবগী মাশরেকি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র। তার রোল নং -১। সে ছাত্র হিসাবে বরাবরই মেধাবী হিসাবে সকল শ্রেনীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। ওরা  ১ভাই ১বোন৷,  বড় বোন  রিয়ন্তী দে ও সমান মেধাবী। সে ও  জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে ৭ বার।রিয়ন্তী এখন  নৃত্যকলাতে রাজশাহী  বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। তার বাবা প্রবল চন্দ্র দে ঋক এর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মা সুবর্না রানী সমদ্দার সহকারী শিক্ষক হিসাবে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন।  ঋক কারাতে ৫ম বেল্ট বা ব্লু বেল্ট
সম্পন্ন করেছে।।তার গীতা শিক্ষার গুরু বৈষ্ণব চূড়ামনি শ্রী অপু দে এবং গানের গুরু ঢাকার শহীদুল্লাহ মামুন স্যার।এছাড়া এলাকায় সে জুয়েল স্যার, তুষার স্যার এবং ভোলার উত্তম স্যারের কাছ থেকে গানের শিক্ষা গ্রহণ করেছে। তবলার শিক্ষক হিসেবে পার্থপ্রতিম আচার্য স্যারের কাছ থেকে সে  দীক্ষিত হয়েছে।

ঋক এর বাবা মাষ্টার প্রবল চন্দ্র দে জানিয়েছেন-
ঋক ২০২২ সালে জাতীয় শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে সংগীত এবং নৃত্যতে দুইটি গোল্ড মেডেল পেয়েছে এবং স্কাউট প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় সংগীতে দেশ সেরা হয়েছে স্কাউট ঋক দে। এছাড়া ২০২৪ সালে  জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে।

সর্বোপরি এই অল্প বয়সে সে আবৃত্তি,কারাতে, স্কাউটস,অভিনয়,বক্তৃতা, সেরা ভাগবতীয় পাঠক ও ধর্মীয় বক্তা হিসাবে প্রায় শতাধীক ক্রেস্ট, সনদ, গোল্ড মেডেল  সহ শতাধীক পুরস্কার পেয়েছে। তার প্রাপ্ত সনদ ও ক্রেস্টে ঋক ভবনের ভেতরের রুম গুলোর শোভা বাড়াচ্ছে।দিন দিন বাড়ছে তার ঘরে সন্মাননা ও সনদের বহর। 

ঋক তার প্রতিভা সম্পর্কে বলেন আমি একজন ভালো মানুষ ও বহুমুখী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে সকলের মন জয় করতে চাই। এ ব্যাপারে আমার বাবা মা, শিক্ষা এবং গান ও নৃত্য গুরুর সহযোগিতা সহ মহান স্রষ্টার কৃপা প্রার্থনা করছি সব সময়।


আরও পড়ুন