কেশবপুরে খাল খনন না করায় বর্ষা মৌসুমে বন্যা প্লাবিত হওয়ার আশংকা

news paper

সোহেল পারভেজ, কেশবপুর

প্রকাশিত: ১৯-৫-২০২৫ দুপুর ১:৩৬

65Views

যশোরের কেশবপুর উপজেলাধীন খাল খনন না করায় আগামী বর্ষা মৌসুমে বন্যা  প্লাবিত হওয়ার আশংকা বিরাজ করছে। বন্যার হাতছানি থেকে রক্ষা পেতে নদী ও খাল খননের দাবী এলাবাসী সাধারণ মানুষের। এই মূহুর্তে খাল খনন কাজ শুরু করা হবে বলে দাবী পানি উন্নয়ন বোডের। 
জানাগেছে, উপজেলার বুরুলী বিল, পাথরা বিল ও গরালিয়া বিলের পানি ভদ্রা নদী অবস্থিত। যেটি যশোর জেলা-খুলনা জেলার মধ্যবর্তী নদী। বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য ১৯৮০ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সেচ্ছায় খাল খনন কর্মসূচীর আওতায় খনন করা হয়েছিলো। তারপর থেকে ক্ষমতাসীনরা ইচ্ছামত খননকাজ করে থাকে। সুধু ততকালীন ক্ষমতাসীন সরকার ও শাসকের হাত বদল হয়েছে। ক্ষমতাসীন ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছে। যার ফলে জনগণের ভাগ্যের কোন উন্নয়ন ঘটেনি। জজনগণ নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন না হলেও বেঁচে থাকার জন্য জমির মালিকগণ ও মৎস্যচাষিরা হারি নিয়ে ছোটো বড়ো মাছের ঘের করে নিয়েছে। প্রতিবছর বোরোধান মৌসুমের শুরুতে ওই সকল ঘেরের পানি শ্যালোইঞ্জিনের সাহায্যে সেচ দিয়ে খালের ভিতর দিয়ে নদীতে ফেলে নিষ্কাশন করে হয়। নদী ও খালে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। যার কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন বাঁধাগ্রহস্থ হয়ে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বিল এলাকার গ্রাম গুলো প্লাবিত হয়ে যায়। এই সব গ্রাম গুলো হলো পৌর সভার ব্রক্ষ্মকাটি, বালিয়াডাঙ্গা, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্যাসডাঙ্গা, রামচন্দ্রপুর, সুজাপুর, মাগুরাডাঙ্গা,খতিয়াখালি, পাঁজিয়া ইউনিয়নের রাজন গরবাকার্ষি, পাঁচবাকাবর্ষি, মঙ্গলকোট ইউনিয়নের  কর্ন্দদর্পপুর, বড়েঙ্গা ও মাগুরখালি, ঘাঘা, হ্রদ, পাথরা। গৌরীঘোনা ইউনিয়নের বুরুলী, দশকাউনিয়া, সারুটিয়া, সুফলাকাটি, কৃষ্ণনগরসহ পার্শবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে যায় প্রতি বছর। আগামী বর্ষা মৌসুমে কয়েকটি গ্রাম ও বিল প্লাবিত হয়ে যাবে। ব্যাসডাঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলাম, মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের মাষ্টার সাইফুল্লাহ দৈনিক সাকালের সময়কে বলেন, বোরোধান মৌসুমে ধান সংগ্রহ শেষ হয়েছে। এই মূহুর্তে নদী, খাল খননের উপযুক্ত সময়। পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি নদী ও খাল খনন না করে তাহলে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বর্ষা মৌসুমে বন্যায় প্লাবিত হয়ে যাবে। খনন করা খুব জরুরি। এরজন্য সরকারের সদইচ্ছার প্রয়োজন। 
কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডেন উপ প্রকৌশলী সুমন শিকদার দৈনিক সাকালের সময়কে বলেন, খনন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খুব শিঘ্রই খনন করা হবে। খননের জন্য চাহিদা অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন