মিথ্যা মামলায় জামিন পেলেন যুবদল নেতা দিদারুল ইসলাম
প্রকাশিত: ১৬-৫-২০২৫ রাত ৯:৩৪
ব্যবসায়ীক প্রতি হিংসার রোষানলের শিকার হয়ে ভিত্তিহীন মানহানিকর ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় আটকের একদিন পর জামিনে মুক্তি পেলেন কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো: দিদারুল ইসলাম দিদার।
(১৫" মে) বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শহিদুল ইসলামের আদালত তাকে জামিন মঞ্জুর করেন। জানা গেছে,দিদারুল ইসলাম দিদার এবং উনার সহোদর মো:আজগর ও মো:ছোটন মিয়া চৌধুরী চাক্তাই রাজাখালী এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। দীর্ঘ সময় ধরে চাক্তাই এলাকায় তারা সুনামের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছিলো। পতিত সৈরচারের দোষর জুলাই আগষ্ট ছাত্রজনতার আন্দোলন প্রতিহত করতে চাক্তাই এলাকার অন্যতম অর্থ যোগান দাতা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দায়েরকৃত বিভিন্ন থানার এজাহার ভুক্ত আসামী সালা উদ্দীন মাঝি এবং মো:সোহাগের সাথে দিদারুল ইসলাম দিদারের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল বলে জানা যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে,ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের রোষানলের শিকার হয়ে প্রতিহিংসা মূলকভাবে ওই মামলায় দিদারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রতি হিংসা মূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আগামী ১৮" মে রবিবার চাক্তাই এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করবে বলেও জানান তারা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, এবিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে,এ মামলার একজনকে আটক করে আদালতের সোপর্দ করা হয়েছে। এর বাহিরে এই মুহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছে। লাসমামলার বাদী পাখি বেগমের মুঠোফোনে বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। যুবদল নেতা দিদারুল ইসলাম দিদার জানান, পতিত স্বৈরাচারের দোষর সালা উদ্দীন মাঝি সাথে আমার দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব ছিল। ২০" এপ্রিল পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা এলাকায় ধর্ষণ চেষ্টার যে অভিযোগ তুলে যে মামলাটি করেছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণীত মিথ্যস বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা,আমি তার নিন্দা জানাই।
৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ে সালাউদ্দিন মাঝি ও সোহাগের লালসা শিকার হয়ে চান্দগাঁও এবং পাছলাইশ থানার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পেন্ডিং মামলায় আমার ছোটভাই ব্যবসায়ী মো:আজগরকে গ্রেপ্তার করে। ৩৬ দিন কারাবাসের পর আজগরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা গুলো মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ওই মামলা প্রত্যাহার আজগরকে সম্মানে খালাস দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সালা উদ্দীন মাঝি তার মিলের মহিলা কর্মচারী রাজিয়া বেগমের কন্যা পাখি বেগম(৩২)কে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ প্রচেষ্টার মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করে সেই মামলায় চাক্তাই নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে র্যাব আমাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পরের দিন আদালত এই মামলার বিভিন্ন আলামত যাচাই-বাছাই করে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা না পেয়ে আমাকে জামিনে মুক্তি দেয়।
আমি প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এবিষয়ে জানতে সালা উদ্দীন মাঝির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।