ভেজাল গোশত বিক্রির দায়ে বড়লেখায় খসাই আটক! অতপর জরিমানা

news paper

বড়লেখা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩০-৪-২০২৫ দুপুর ২:১৬

8Views

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার কাঠালতলী বাজারে রক্তহীন গরুর মাংসের সঙ্গে কৃত্রিম রং ও সদ্য জবাই দেওয়া গরুর রক্ত মিশিয়ে তা বিক্রির অপরাধে সাদেক আহমদ (১৯) নামের এক মাংস ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে ঐ ব্যবসায়ীকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিচালিত অভিযানে এই জরিমানা আদায় করা হয়।অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসলাম সারোয়ার। দন্ডিত মাংস ব্যবসায়ী সাদেক আহমদ সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন থেকে কাঠালতলী বাজারে মাংস বিক্রি করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাজারে দেওয়ান শাহ নামের মাংসের দোকানে ক্রেতারা অস্বাভাবিক রং ও গন্ধ লক্ষ্য করেন। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি দোকানদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং একপর্যায়ে তার কাছে ভেজাল উপাদান মিশ্রণের প্রমাণ পান। তখনই উপস্থিত জনসাধারণ ব্যবসায়ীকে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা আদায় করে মুক্তি দিয়েছেন। এ সময় দন্ডিত মাংস ব্যবসায়ী সাদেক আহমদ তার অপরাধ স্বীকার করেন এবং জরিমানার টাকা প্রদান করেন।

কাঠালতলী বাজারের ব্যবসায়ী ফ্রিলান্সার আক্তার হোসেন বলেন, দেওয়ান শাহ মাংসের দোকানে অস্বাভাবিক গন্ধের কারণে আমাদের সন্দেহ হয় পরে দেখা যায় সদ্য জবাই করা গরুর রক্ত ও কৃত্রিম রং মিশিয়ে রক্তহীন গরুর মাংস বিক্রির চেষ্টা চলছে। বিষয়টি টের পেয়ে আমরা ঐ ব্যবসায়ীকে আটক করি। পরে প্রশাসনের অভিযানে ঐ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। অন্য দিকে দেখা যায় ভাই ভাই মাংসের দোকানিরা প্রশাসনের উপস্থিত টের পেয়ে তাৎক্ষণিক দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে সেখানেও ভেজাল মাংস বিক্রি করা হত।

নির্বাহী মাজিস্ট্রেট ও ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসলাম সারোয়ার বলেন, বড়লেখা উপজেলার কাঠালতলী  বাজারে গরুর মাংসের সাথে ভেজাল (রং/রক্ত) মিশিয়ে বিক্রির অপরাধে মাংস ব্যবসায়ী সাদেক আহমদকে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪১ ধারায় ১০ হাজার জরিমান করেছেন। এছাড়া তার কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়েছে।


আরও পড়ুন