আল্লামা সাঈদীকে শহীদ করে দায়ী ইলাল্লাহ্কে নিভিয়ে দিতে চেয়েছিলঃ শামীম সাঈদী

news paper

হারুন অর রশিদ, নালিতাবাড়ী

প্রকাশিত: ২৮-৪-২০২৫ দুপুর ১২:৫৭

222Views

মঠবাড়িয়ার মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় লালিত স্বপ্নের বহি:প্রকাশ ঘটাতে দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদ কর্তৃক সত্যকে দমিয়ে রাখা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ২৭ এপ্রিল রোজ রোবার মাগরিব বাদ শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠে ইসলামী পাঠাগার ও সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে তাফসিরুল কোরআন মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো: আ: জলিল শরীফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব শামীম বিন সাঈদী বলেন, আমাদের আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর দেখানো পথে হাটতে হবে। কারণ তিনি মানব রচিত মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন না। কোরআনই তাঁর একমাত্র শক্তির উৎস ছিল। জালিম সরকারের চাপিয়ে দেয়া অযাচিত মনগড়া মামলায় ১৩টি বছর জেল খানার মেঝেতে অতিকষ্টে মানবেতর জীবন কাটানোর পরেও তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে হাস্যোজ্জ্বল বদনে তিনি বলতেন, আলহামদুলিল্লাহ্। হিমালয়সম বিপদ তার ঈমানী দৃঢ়তায় মনে করতেন নগন্য কোন বিষয়। মেনে নিতেন তার ওপর যা কিছু হচ্ছে তা তার রবের পক্ষ হতে পরীক্ষা মাত্র। তিনি রবের কাছে প্রতিনিয়ত শাহাদাতের তামান্না ও জেলখানায় যেন তার মৃত্যু না ঘটে। সৃষ্টিকর্তা মজলুমের প্রার্থনাটুকু হয়তো কবুল করেছেন। ভারতের র’এর কথা অনুযায়ী আমার সুস্থ্য বাবাকে জেলখানা থেকে চিকিৎসার নাটক সাজিয়ে হাসপাতালে ঘাতক ডা: পয়জন ইনজেকশন করে পৃথিবী থেকে শেষ বিধায় করে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে মজবুত করতে চেয়েছিল। তার মৃত্যুর সাথে সাথে আল্লাহ্ তা’য়ালা গোটা জাতিকে ভূ-কম্পনের মাধ্যমে উপলব্ধি করিয়েছেন আল্লামা সাঈদী আল্লাহর নিরেট একজন প্রিয় বান্দা ছিলেন। তিনি কোন সময় দায়ী ইলাল্লাহ্ থেকে একটুও পিছুপা বা দুনিয়াবী কোন লোভ বা তাগুতী হুংকারের কাছে আপোষ করেননি। আশির দশকে তৎকালিন প্রেসিডেন্ট হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ তার জাতীয় পার্টিকে বেগবান করতে আমার বাবা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে দলের বড় পদ পদবীসহ ৪টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের লোভনীয় প্রস্তাব দেয়ার পরেও তিনি তা প্রত্যাখান করেন। তার ওপর গোটা জাতির ছিল অবিচল আস্থা। যে কারণে নাটকীয় মামলার ফাঁসির রায়ের প্রত্যাহারের দাবীতে দাফনের কাপড় পরে সর্বস্তরের মানুষ সর্বাত্মক হরতাল অবরোধ করে গোটা দেশকে অচল করে ২৫০ জন মানুষ সেদিন জীবন দিয়েছিলেন। পার্লামেন্টে একটি মাত্র বক্তব্যে সংসদ ভবনের দীর্ঘ দিনের মাথা নত হওয়া শিরক্ চিরতরে বিলুপ্ত করেন। আজ আল্লামা সাঈদী নেই তার দেখানো ঈমানের অদম্য পথে প্রেরণা নিয়ে কাজ করলে আমরা একদিন কামিয়াব হবোই ইনশাল্লাহ্। এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মোফাচ্ছেরে কোরআন আমির হামজা ও অন্যান্য ওলামায়কেরামগণ। 

 


আরও পড়ুন