কুয়েটে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের প্রতীকী অনশন
প্রকাশিত: ২৩-৪-২০২৫ দুপুর ৩:৪৯
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর চলমান ছাত্রআন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশন ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
শেকৃবি শিক্ষার্থীরা জানান, কুয়েট শিক্ষার্থীদের একদফা দাবি—ভিসির পদত্যাগ—তাদের যৌক্তিক এবং ন্যায়সঙ্গত। সেই দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আজ (২৩ এপ্রিল) তারা সকল একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রেখেছেন এবং প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন।
শেকৃবির শিক্ষার্থী মফিজ বলেন, “ভিসি অপসারণের জন্য যে একদফা দাবি করেছে কুয়েট শিক্ষার্থীরা, তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আমরা আজকে আমাদের সকল একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করেছি। আমাদের দাবি, কুয়েটের ভিসিকে আজকের মধ্যেই পদত্যাগ করতে হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী রাহাদ বলেন, “আমরা কুয়েটের ভাইদের ন্যায্য দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। এরই অংশ হিসেবে আজ আমরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে প্রতীকী অনশনে বসেছি। আমরা চাই, আজই কুয়েট ভিসি পদত্যাগ করুক।”
শেকৃবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মেহেদী হাসান নাঈম বলেন, “আজ আমরা শেকৃবির সকল শিক্ষার্থী ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে কুয়েটের ভাইদের সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। আমরা কোনো ফ্যাসিস্ট শাসনের উত্থান চাই না। যেমন একটি সরকারের বৈধতা জনগণের সমর্থনের মাধ্যমে আসে, তেমনি একজন ভিসির বৈধতাও শিক্ষার্থীদের সমর্থনের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। যেখানে শিক্ষার্থীরা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, সেখানে তার আর গদিতে থাকার ন্যূনতম নৈতিক অধিকার নেই।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের শিখিয়েছে রক্ত দিয়ে অধিকার আদায় করতে এবং জালিমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। তাই আমাদের গদির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। যেই জুলুম করবে, ছাত্রসমাজ তার বিরুদ্ধেই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবে। আমরা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের পাশে আছি, এবং থাকবো যতক্ষণ না তাদের ন্যায্য দাবি পূরণ হচ্ছে।”
শেকৃবি শিক্ষার্থীদের এমন কর্মসূচি শিক্ষাঙ্গনে চলমান ছাত্রসচেতনতা এবং ন্যায়বিচারের আন্দোলনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।