কুমিল্লায় চলছে “কুটির শিল্প বাণিজ্য মেলা”র শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
প্রকাশিত: ২১-৪-২০২৫ দুপুর ৩:৫৩
প্রথমবারের মতো কুমিল্লায় আয়োজন হতে যাচ্ছে সর্ববৃহৎ কুটির শিল্প বাণিজ্য মেলা। নগরীর টমছমব্রিজ থেকে বিশ্বরোডে যাওয়ার পথে জাঙ্গালিয়া বাস স্ট্যান্ডের দক্ষিণ পাশে রামনগর অবস্থিত ডিওএইচএস মাঠে প্রায় ৯ একর জায়গার মধ্যে গড়ে উঠেছে এই বৃহৎ মেলার কার্যক্রম। আগামী বুধবার (২৩ তারিখ) থেকে শুরু হতে যাওয়া কুমিল্লায় "কুটির শিল্প বানিজ্য মেলা"য় এই বিশাল কর্মযজ্ঞে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কাজ শেষ না হওয়ায় কোনো কোনো স্টলে চলবে রাতভর কাজ।
সোমবার মেলায় ঘুরে দেখা যায়, মেলার ভিআইপি গেইট, বাউন্ডারি, রাস্তা, স্টলসহ সব ধরনের কাজই চলমান ছিল। কমবেশি সব স্টলে কাজ চলছে। তবে অধিকাংশ স্টলেই চলছিল শেষ পর্যায়ের কাজ।
স্টল নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা বলেন, যে কাজ রয়েছে, তা কর্তৃপক্ষের সময় দেওয়া অনুযায়ী মেলা উদ্বোধন হওয়ার আগেই শেষ হবে। তবে কিছু কিছু স্টলের আংশিক কিছু নির্মাণ কাজ বাকি থাকতে পারে।
প্যাভিলিয়ন ও স্টলে রঙ আর ইলেকট্রিক লাইনের কাজ করতে দেখা গেছে কর্মীদের। যেসব স্টল ও প্যাভিলিয়নের কাজে ধীর গতি থাকলেও তারাও এখন অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন। চলাচলের রাস্তায় ইটের সলিং আর বালু ফেলানোর কাজ প্রায় শেষের দিকে। মেলা প্রাঙ্গণে শোনা যাচ্ছে হাতুড়ি আর করাতের শব্দ।
কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে কথা হয় প্যাভিলিয়ন ও স্টল তৈরির কাজে ব্যস্ত শ্রমিকদের সঙ্গে। অনেক স্টল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে অনেকগুলোর কাজ। বেশিরভাগ স্টল ও প্যাভিলিয়নের কাজ ৮০-৯০ শতাংশ শেষ। বৃষ্টির কথা চিন্তা করে এবার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মেলার স্টলগুলোতে আসতে শুরু করেছে পণ্য। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধিকাংশ স্টলের মালামাল চলে আসছে, ২/১ দিনের মধ্যেই বাকি দোকানের মালামাল চলে আসবে।
তাছাড়া চলছিল মেলার মেইন গেটের অবকাঠামো নির্মাণের কাজও। সেখানকার কর্মরত শ্রমিকরা জানান, গেট নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। তাদের হাতে এখনও ২দিন সময় আছে। তারা দাবি করেন, সেই সময়ের মধ্যে কাজ করে গেট নির্মাণের কাজ শেষ করবেন। ইতোমধ্যে শেষ করেছেন মেলার সামনের পার্কিংয়ের কাজ।
২৩ই এপ্রিল মেলা শুরু হয়ে মেলা চলবে প্রায় ২মাসের মত। প্রতিদিন সকাল ১০টা শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। ৫ বছরের নিছে বাচ্চাদের জন্য রয়েছে ফ্রি ও প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য এন্ট্রি ফি ২০/-টাকা টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, বাচ্চাদের বিভিন্ন খেলার রাইড, রেস্তোরাঁ সহ শতাদিক স্টল রয়েছে ।
সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে ‘মেলা পরিচালনা কমিটি' বিল্লাল হোসেন বলেন ২০ তারিখ আমাদের মেলার উদ্বোধন করার কথা থাকলেও অসম্পূর্ণ কাজের জন্য আরও ২/৩ দিন সময় লাগতেছে, তাই আমরা কর্তৃপক্ষ আগামী ২৩ তারিখ থেকে মেলা উদ্ভোধনের কার্যক্রম শুরু করব,
ওসমান গনী বলেন’- স্টল যারা বরাদ্দ পেয়েছেন তাদের কর্মীরা মেলাকে সুন্দর ও প্রাণবন্ত করতে রাতদিন পরিশ্রম করছেন। বলা যায়, সব কাজই ঠিকমতো এগোচ্ছে।
এদিকে মেলাকে কেন্দ্র করে সি সি ক্যামেরা মনিটরিং সহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেলা কর্তৃপক্ষ।