ঢাকার শেরাটনে সফল উদ্যোক্তা মেলা আয়োজন করল ইনার হুইল বাংলাদেশ
প্রকাশিত: ২১-৪-২০২৫ দুপুর ২:৩
ইনার হুইল বাংলাদেশ, ডিস্ট্রিক্ট- ৩২৮ এর চার্টার প্রেসিডেন্ট ডে উদযাপন উপলক্ষে গতদিন রাজধানী ঢাকার শেরাটনে মনোমুগ্ধকর উদ্যোক্তা মেলা আয়োজন করা হয়। ক্রেতা দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল শেরাটন বলরুম। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্যোক্তা দিনব্যাপী মেলাতে অংশ নেয়। আলমাশী ফুটওয়ার লিমিটেড যেমন তাদের চামড়াজাত পণ্য সামগ্রী প্রদর্শন করে। এর মধ্যে চামড়ার জুতা, স্যান্ডেল, হ্যান্ডব্যাগ, লেডিস ব্যাগ, মানিব্যাগ, বেল্ট ইত্যাদি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ২০২৪ সাল থেকে অত্যাধুনিক আঙ্গিকে ব্যবসার শুভ সূচনা মারফত সারা বাংলাদেশে পাইকারী ও খুচরা নিজস্ব পণ্যসমূহ বিপণন করছে আলমাশী। অন্যদের থেকে কেন তারা স্বতন্ত্র?- এ প্রশ্নের উত্তরে ম্যানেজিং পার্টনার শেখ রুসলান রুবাইয়াত এবং ইসমাত জেরিন রহমান বলেন- “আলমাশী সব পণ্যে সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য বদল করে নেওয়া কিংবা শতভাগ রিফান্ড ব্যবস্থাও আছে। আমরা নিজেরা চামড়া সংগ্রহ করে হাজারীবাগের নিজস্ব ট্যানারীতে পরম যত্নে প্রক্রিয়াজাত ও উৎপাদন করি। পণ্যের গুণগত মান দারুণ। ফলতঃ আমাদের ক্রেতারা উচ্চকিতভাবে সন্তুষ্ট।” ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার প্রশ্নে আরেকজন পার্টনার মাহবুবুর রহমান ওয়াসিফ জানান- “বর্তমান অবস্থা থেকে বৃহৎ পরিসরে পণ্যসমূহ বিশ্ববাজারে রপ্তানী করা আমাদের লক্ষ্য। এখন দৈনিক ৫০-৭০ জোড়া উৎপাদন করছি, এটা বর্ধিত করে ২৫,০০০-৩০,০০০ স্পোর্টস জুতা এবং ৫০০০ চামড়া পণ্য উৎপাদন করার ইচ্ছা।” উল্লেখ্য, এই তিন তরুণ তুর্কীর নেতৃত্বে ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএস-এ আলমাশীর শো রুমটিও দুর্দান্ত ভাবে এগিয়ে চলছে।
পাশাপাশি, এই মেলায় চোখ ধাঁধানো জামদানী শাড়ি দিয়ে নজর কেড়েছে আনোয়ার জামদানী উইভিং ফ্যাক্টরী। ১৯৮৭ সাল থেকে মানসম্মত জামদানী শাড়ির কারখানা তাদের। এই কারখানায় শাড়ির পাশাপাশি দু-পিস, ওড়না ও পাঞ্জাবী তৈরি হয়। তারও আগে পাকিস্তান আমলে আনোয়ার জামদানী’র কর্ণধার মোঃ আনোয়ার হোসেনের প্র-পিতামহের হাত ধরে ঐতিহ্যবাহী এই ব্যবসার সূত্রপাত ঘটে। মেলার দিন কথা হয় মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও মোঃ সাইফুল ইসলাম এঁর সাথে। তারা জানান- “বর্তমানে মোট ৮০ জন কারিগর তাদের হস্তশৈলীর অনবদ্য বুননে একেকটি জামদানী শাড়ি প্রস্তুত করে। ব্যতিক্রম ও দামী শাড়িগুলো তৈরিতে একনাগাড়ে সাত মাস সময় লেগে যায়। সেরা সুতার সমন্বয়ে যে কোন নকশার বুননে একেকটি শাড়ি হয়ে ওঠে অনন্য মোহনীয় সুন্দর। সারা বাংলাদেশে এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এসব জামদানী শাড়ির প্রচুর কদর রয়েছে। বেইলী রোডের টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির এই কারখানা থেকে বহু বছর শাড়ি- কাপড় নিয়ে ব্যবসা করেছে।” আনোয়ার জামদানী উইভিং ফ্যাক্টরীর ঠিকানা- দক্ষিণ রুপসী, তারাব বাজার, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
উল্লেখ্য, দেশের নামকরা সব লাইফস্টাইল এক্সপো, প্রদর্শনী ও মেলাতে অংশ নেয় উক্ত প্রতিষ্ঠান দুটি।