বগুড়ায় পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্বের দাবীতে মানববন্ধন
প্রকাশিত: ২৯-১-২০২৫ দুপুর ৪:৩৬
জাতীয় পরিচয়পত্রসহ যাবতীয় পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ে চেহারা ও ছবি মেলানোর মত সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই বাধ্যতামূলক করার দাবিতে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বগুড়া সাতমাথায় সকাল সাড়ে এগারোটায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে পর্দানশীল নারীরা।
মানববন্ধনে পর্দানশীল নারী ওয়ালিদা খাতুন তার বক্তব্যে বলেন, মানুষের মুখের ছবি পরিবর্তনশীল। সময়ের সাথে সাথে মানুষের চেহারার পরিবর্তন হয়। মুখচ্ছবি মানুষের পরিচয়ের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নয়।
অথচ এই অজুহাতে পর্দানশীল নারীদের বিভিন্ন রকমের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। অপরদিকে চেহারার মিল থাকায় সেটাকে পুঁজি করে প্রায় আড়াই লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে পাড়ি জামাচ্ছে, কিন্তু যখন ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই-বাছাই শুরু হয় তখন তাদের প্রতারণা ধরা পড়ে এবং সমস্যার সমাধান হয়।
তিনি বলেন, পর্দানশীল নারীদের জাতীয় পরিচয় পত্র দিতে আইনে কোন বাঁধা নেই। পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এবং ২০২৩ এ পরিচয় সনাক্তে চেহারার ছবির কথা উল্লেখ নেই এমনকি বায়োমেট্রিক যাচাইয়ে ফেসিয়াল রিকগনিশন বাধ্যতামূলক করা হয়নি। তারপরেও স্বৈরাচারী মনোভাব থেকে পর্দানশীল নারীদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে সাবেক ইসি কর্মকর্তারা।
এ সময় ৩ দফা দাবি নিয়ে তিনি আরও বলেন, বিগত ১৬ বছর যাবত যে সমস্ত ইসি কর্মকর্তারা পর্দানশীল নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার ক্ষুন্ন করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
পর্দানশীল নারীদের ধর্মীয় প্রাইভেসি অধিকার অক্ষুন্ন রেখে জাতীয় পরিচয় পত্র ও শিক্ষা অধিকার, পরিচয় সনাক্তে চেহারার ছবি মেলানোর সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই-বাছাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে হবে। পর্দানশীল নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় পুরুষ নয়, নারী কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যদি আমাদের এই নৈতিক দাবি না মানা হয় তাহলে বগুড়া জেলা সহ দেশব্যাপী ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও পর্দানশীল নারীরা বৃহৎ পরিসরে আন্দোলনে নামবে।
মানববন্ধন শেষে পর্দানশীল নারীরা তাদের দাবি আদায়ে জেলা নির্বাচন অফিস ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অফিসে স্মারকলিপি প্রদান করেন।