গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায় শালীকে ধর্ষণ
প্রকাশিত: ৩০-১২-২০২৪ দুপুর ১১:৪১
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার দক্ষিণ বাশুড়িয়া গ্রামে ১৬ বছরের নাবালিকা লিমাকে ধর্ষণ করেন তার চাচাতো দুলা ভাই ইসলাম মোল্লা। তাকে প্রেমিকের সাথে বিয়ে দেয়ার কথা বলে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন। এই ঘটনার পর, ধর্ষিতার পরিবারকে ভয়-ভীতি দেখানো হয় এবং তাদের অভিযোগ করতে নিষেধ করা হয়।
পরে, গ্রামে সালিশির মাধ্যমে মীমাংসার জন্য মুরুব্বিদের সমাবেশ বসানো হয়। অভিযুক্ত ইসলাম মোল্লা, ধর্ষণের ঘটনা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। সালিশি মীমাংসায় উপস্থিত মুরুব্বিরা সিদ্ধান্ত নেন যে, ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) জরিমানা এবং জুতার মালা দিয়ে গ্রামে ঘোরানোর মাধ্যমে এই বিষয়টির সমাধান করার চেষ্টা করেন। পরে, ধর্ষণের শিকার হওয়া লিমা ও তার পিতা লিটন মুরুব্বিদের এই সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়ার কারণে তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়।
গ্রাম্য সালিশিতে বিচার করেন মোহাম্মদ গাউস শেখ, আক্তার, আওলাদ, মোহাম্মদ ইসরাইল খাঁ, টুটুল, কালিম, রজ্জব আলী শেখ, জাকির, আলমগীর, রফিক, ধর্ষণের অভিযুক্ত ইসলাম মোল্লার পিতাঃ এনায়েত মোল্লা ও বড় ভাই রফিক মোল্লা।
লিমার বাবা বলেন আজ আমার পকেটে টাকা নেই বলে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করার পরেও সঠিক বিচার পাইনি আমি আমার মেয়ে লিমার ধর্ষকের সঠিক বিচার দাবি করেন।