অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়া আরিফ মরিয়ম চক্ষু এন্ড জেনারেল হাসপাতাল
প্রকাশিত: ৮-১২-২০২৪ দুপুর ৪:১১
আরিফ মরিয়ম চক্ষু এন্ড জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।এক সময় আওয়ামীলীগের নাম ব্যাবহার করে নানা অপকর্ম করতেন আরিফ মরিয়ম চক্ষু এন্ড জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ।
৫ই আগষ্টের পর থেকে আরিফ মরিয়ম চক্ষু এন্ড জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ নিজেকে বি এন পির বড় নেতা হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বেরাচ্ছেন আরিফ অত্র এলাকায়।হাসপাতালের নারী ডাক্তার, নার্সকে যৌন হয়রানিরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে আরিফের বিরুদ্ধে।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল এলাকার স্থানীয় ব্যক্তিদের ছাটাই করে তার আত্বীয়-স্বজন ও তার মনগড়া ভাবে নিয়োগ দিয়েছেন বিভিন্ন পদে। শুধু তাই নয় নতুন করে পছন্দনীয় ভাবে নারীদেরকে দিয়েছেন হাসপাতাল তত্ত্ববধায়ক এর বিভিন্ন দায়িত্ব ।আরিফ মরিয়ম চক্ষু এন্ড জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আওয়ামীলীগের নাম ব্যাবহার করে, অত্র এলাকায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং দিয়েছেন অনেক ভুল চিকিৎসাও এমন হাজারও নজির রয়েছে গণমাধ্যমের কাছে।সুমন নামের এক শ্রমীক গীগ নেতাকে ব্যবহার করে তার হসপিটালের দেখা শোনার দায়িত্ব ও তার প্রতিস্ঠানে চাকরি দিয়ে সুবিধা নিয়ে বেতন ভাতা না দিয়ে তার হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, হসপিটালে কোন ডাক্তার নিয়মিত বসে না বরং আরিফ নিজে একজন পল্লী চিকিৎসক হয়ে ও ডি ও পি টি সি চোখের ডাক্তার নামে নিজের ভিজিটিং কার্ডে ডাক্তার লিখে ১০০-থেকে ২০০টাকা ভিজিট নিয়ে নিজে নিয়মিত চোখের রুগী দেখছেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।এসব অভিযোগ ছাড়াও হাতপাতালে ট্রেনিংরত প্রায় নারী ডাক্তারদের সাথে খারাপ আচরণের অভিযোগ রয়েছে। বিয়েও করেছিলেন তার বড় বউ মরিয়ম কে রেখে অন্য আরেক নারীকে পরে অবশ্য তার বউ মরিয়ম ও আওয়ামী লীগ নেতাদের চাপে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিতে বাধ্য হয়। এসব এলাকার মানুষের কাছে নারী কেলেঙ্কারি কথাগুলো পরিস্কার হয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে আলোচনা সমালোচনার। এলাকার মানুষ হয়ও আরিফ এর কাছে চিকিৎসা নিতে এসে গুনতে হয়েছে মোটা অংকের টাকা তার পরও পেয়েছে ভুল চিকিৎসা , এলাকার এক ব্যাক্তি জুলামকে ভূল চিকিৎসা দিয়েও আরিফ কসাই এর মত দাম নিয়েছে ১২ হাজার টাকা।
সবুজ নামের এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে দিয়ে হসপিটালের ইলেকট্রিক এর কাজ করিয়ে নিয়ে বিল না দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের দেখিয়ে প্রভাব খাটিয়ে হাতি নিয়েছেন অনেকগুলো টাকা। এ বিষয়ে এলাকার মুরুব্বীদের নিয়ে বেশ কয়েকবার দেন বারবার হলেও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সবুজ পাইনি
সঠিক কোন সমাধান উল্টো আরো আরিফের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে সবুজকে।
এলাকাবাসী বলছেন, এই আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার কারি আরিফ মরিয়ম হাসপাতাল এর মালিক কসাই আরিফ এর কাছ থেকে কোন অসহায় ছাড় পায়নি বরং হয়েছে প্রতারিত তাই কোন অসহায় বা গরীব কে যেনো প্রতারিত না হতে হয়। সে বিষয়ে প্রশাাসন এর কাছে সঠিক বিচার আশা করি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরিফের প্রতিষ্ঠানেই থাকা বেশ কয়েকজন জানান, বেশ কয়েক বছর হলো আরিফ আওয়ামী লীগ এর নাম ব্যাবহার করে করেছেন নানা অপকর্ম হাতিয়ে নিয়েছে কসাই এর মত লাখ লাখ টাকা । এখনসে অবশ্য নিজেকে বি এন পির বড় নেতা হিসাবে পরিচয় দিয়ে বেরাচ্ছেন এলাকায়।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আরিফ মরিয়ম হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ বলেন, আমি একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট। কখনোই ডাক্তার পরিচয়ে কোনো চিকিৎসা করি না। সাইনবোর্ডে ডাক্তার ও ভিজিটিং কার্ডে ডাক্তার লেখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাইনবোর্ডে হয়তো ডাক্তার লেখা ও ভিজিটিং কার্ডে ডাক্তার লেখা থাকতে পারে কিন্তু আমি সেটা যানি না অন্য কেও লিখতে পারে ।
ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা প্রতিষ্ঠানে রোগী মারা গেছে কি যায় নাই, সেটা বলব না। রোগীর কোনো অভিভাবক কি আপনার কাছে অভিযোগ করেছে? সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা.মো: নুরুল আমীন বলেন, ডি ও পি টি করে কেউ ডাক্তার লিখতে পারে না আমরা অবিলম্বে ব্যবস্থা নিবো ধন্যবাদ।