দ্বীন কায়েমের জন্য ঘরে ঘরে ইসলামের দুর্গ গড়ে তুলতে হবে : পিরোজপুর জেলা জামায়াত সেক্রেটারি
প্রকাশিত: ১৮-১০-২০২৪ দুপুর ৩:৪
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার পৃথক দুটি কর্মী শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌরসভার ইউনিট শিক্ষা শিবিরের সভাপতিত্ব করেন পৌর জামায়াতের আমির আব্দুর রাজ্জাক শেখ। পরিচালনা করেন সহকারী সেক্রেটারি আল-আমিন শেখ।
সদর উপজেলা ওয়ার্ড দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবিরে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান এবং পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির পিরোজপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাবেক শ্রমিক নেতা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জহিরুল হক।
তিনি বলেন, যুগে যুগে প্রত্যেক নবী-রাসূলদের দ্বীন কায়েমের যে ত্যাগ কোরবানি রয়েছে, ইসলামে তা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। আর বিগত ১৬টি বছর আমাদের নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে যারা যে ত্যাগ কোরবানি করেছেন তা বাংলার ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বাগানের মালি যেমন তার প্রিয় ফুলটি বাগান থেকে তুলে নেয়, ঠিক তেমনি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আল্লাহর জমিনে দ্বীন কায়েমের জন্য তার পছন্দের মানুষদেরই শহীদ হিসেবে কবুল করে নিয়েছেন। আমরা এই ১৬ বছরে সাবেক আমিরে জামায়াত শহীদ মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, আ. কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী মিন্টু এবং কুরআনের পাখি শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমুল্লাহসহ অসংখ্য দায়িত্বশীল এবং নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। অনেকে এখন পর্যন্ত গুম আছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পিরোজপুরের কৃতী সন্তান আল মুকাদ্দাসকে এখন পর্যন্ত তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আবেদন রাখব, যদি তারা জীবিত থাকে তাহলে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করুন আর যদি জীবিত না থাকে তাহলে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে পরিবারকে নিশ্চিত করুন। ওই সকল মায়ের চোখের পানি আর যেন না পড়ে সেজন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা আজ সরকারের কাছে সঠিক তথ্য চাই। তারা কোথায় আছেন, তাদের অপরাধ কী ছিল? তাদের অপরাধ ছিল একটাই- তারা একমাত্র আল্লাহর প্রশংসা করেছিলেন। এই আওয়ামী সরকার বায়বীয় মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। কিন্তু আমরা কি দেখতে পেলাম, আমরা দেখলাম কোনো দায়িত্বশীলই এই ফাঁসি নিয়ে বিচলিত ছিলেন না। তারা হাসিমুখে আল্লাহর সান্নিধ্যে হাজিরা দেয়ার জন্য ব্যস্ত ছিলেন এবং ফাঁসির রশি গলায় জড়িয়ে আল্লাহর রঙে রঙিন হয়ে শহীদ হিসেবে আল্লাহর কাছে হাজিরা দিয়েছেন। আমরা কি পারব এসব শহীদের মতো আল্লাহর এই জমিনে আল্লাহর আইন কায়েম করার জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিতে?
তিনি বলেন, প্রিয় কর্মী ভাইয়েরা, এসব শহীদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য আমাদের আল্লাহর একজন দা'য়ী হিসেবে আল্লাহর এই জমিনে দ্বীন কায়েমের জন্য ঘরে ঘরে ইসলামের দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। পিরোজপুরের মাটি শহীদ আল্লামার ঘাঁটি। এটা বাস্তব ময়দানে প্রমাণ করতে হবে। আগামী প্রজন্মের কাছে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পৌর জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি ইসাহাক আলী খান, বাইতুল মাল সেক্রেটারি সাখাওয়াত হোসাইন, সদর উপজেলার যুব বিভাগের সেক্রেটারি আলামিন ফকিরসহ দায়িত্বশীলবৃন্দ।