দিনাজপুরে চালের উৎপাদন বাড়লেও বিক্রি নেই, সুগন্ধি চাল নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা

news paper

মাসুদ রেজা হাই, দিনাজপুর

প্রকাশিত: ৫-১০-২০২৪ দুপুর ২:১০

57Views

সুগন্ধি চালের পথিকৃৎ দিনাজপুর জেলায় সুগন্ধি চাল বিক্রিতে ধস নেমেছে। গত আমন ও বোরো মৌসুমে চাল বিক্রি করতে না পারায় শত শত মেট্রিক টন চাল পড়ে রয়েছে অবিক্রীত অবস্থায়। এদিকে আর এক মাস পরই বাজারে আসবে আমন মৌসুমের সুগন্ধি চাল। এ অবস্থায় সুগন্ধি চাল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন দিনাজপুরের মিলার ও চাল ব্যবসায়ীরা। সামনের আমন মৌসুমের আগেই মজুদ চাল বিক্রি করতে না পারলে সুগন্ধি চাল ব্যবসায় ধস নামবে বলে আশঙ্কা করছেন মিলার ও ব্যবসায়ীরা।

দিনাজপুরের সুগন্ধি চালের বাজার ও মিলার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুগন্ধি চালের বেচাকেনা তলানিতে নেমেছে। অনেক মিলার ও বড় ব্যবসায়ী বহনিও করতে পারছেন না। সুগন্ধি চিনিগুঁড়া এক মণ (৪০ কেজি) চাল গত আমন সৌমুমে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। সেই চাল বোরো মৌসুমে এসে ৪ হাজার টাকা মণ বিক্রি হয়। সেই চিনিগুঁড়া চাল এখন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৩০০ টাকায়। ৯০ জিরা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকা ও কাটারি ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৩৫০ টাকায়। গত দুই মৌসুমের ব্যবধানে সুগন্ধি চালের দাম প্রকারভেদে এক মণে ১৭০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমে গেছে। তারপরও বিক্রি নেই। মিলার এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাকিতে বিক্রির শর্তেও চাল বিক্রি করতে পারছেন না। দোকানিরা সুগন্ধি চাল কিনছেন না।

এ ব্যাপরে জানতে চাইলে বাহাদুর বাজারের জনৈক চাল ব্যবসায়ী বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান কমে গেছে। বিয়ের অনুষ্ঠানও খুব একটা নেই। বিদেশিরাও কম আসছে। এতে চাইনিজ ও বিরিয়ানির হোটেলগুলোতেও ক্রেতা কমেছে। আবার গত সরকার বিদেশে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে খোলা এবং প্যাকেটজাত সুগন্ধি চালের দাম কমেছে।

চালের মোকাম পুলহাটে সুগন্ধি চালের ব্যবসা করেন আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, মিলে সব ধরনের সুগন্ধি চাল রয়েছে। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে না। চাহিদা নেই। এবার তাকে লোকসান গুনতে হবে। আবার এক মাসের মধ্যে চালগুলো বিক্রি করতে না পারলে নতুন চাল চলে আসবে। তখন হয়তো বাজার আরো খারাপ হয়ে যাবে। লোকসান গুনে বাকিতেও বিক্রি হচ্ছে না চাল।


আরও পড়ুন