দেবীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টার মামলা
প্রকাশিত: ৬-৯-২০২৪ বিকাল ৫:৩১
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম এমুসহ আট আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ জয়নুল হক বাদী হয়ে তার উপর হামলা, দোকান ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই এবং চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ঐ আট নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন দেবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, দেবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে কায়েদে আজম, কৃষক লীগ নেতা ইউসুফ আলী ও মোঃ শফিক।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গতবছর ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ বিকেলে সদর ইউনিয়নের মড়াতল্লী বাজারে ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক জয়নুল হকের দোকানে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম এমুর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। প্রথমে তার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়, চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভুক্তভোগী জয়নুলের মাথায় রাম দা দিয়ে চোট দেয়া হয় এবং বাকি আসামিরা তার শরীরের আঘাত করতে থাকেন। আহত অবস্থায় বাচার জন্য সেখান দৌড়ে আব্দুল বাকীর বাসায় আশ্রয় নিলে সেখানেও ভাঙচুর চালায় অভিযুক্ত আসামিরা এবং জয়নুল হকের গলা চেপে ধরে শ্বাস রোধে হত্যা চেষ্টা করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এঘটনায় জয়নুল হক বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫০-৬০ জানের নামে দেবীগঞ্জ থানায় মারপিট, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ভাঙচুর এবং হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার প্রায় ৮ মাস পর মামলা করা হলো কেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাদী জয়নুল হক বলেন, সে সময় তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য আমি নিজ এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারিনি। এমু বাহিনীর হামলার আশঙ্কায় তখন মামলা করিনি।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, গতকাল মামলাটি রাজু করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।