গুইমারায় নকঁশা পরিবর্তন করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ
প্রকাশিত: ২৯-৮-২০২৪ দুপুর ৪:৪৪
সরকারি নিয়মনীতি অমান্য করে বাজার ফান্ড প্রশাসনের যোগসাজসে নকশা পরিবর্তন করে ভবন নিমার্ণসহ নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে গুইমারার কংজরী চৌধুরী, আশুতোষ, ঝন্টু পাল, খোরশেদ আলম, টিবলু মজুমদার, লেয়াকত ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে। তাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয় সচেতন মহলের। জানা যায়, গুইমারা বাজারের বিভিন্নস্থানে আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কংজরী চৌধুরী, আশুতোষ, ঝন্টু পাল, খোরশেদ আলম, টিবলু মজুমদার, লেয়াকত ও শাহ আলমসহ অনেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছে। তারই মধ্যে উল্লেখযোগ্য নকশা পরিবর্তন করে ভবন নির্মাণ। ক্ষমতার দাপটে অন্যের জায়গা দখল করে নিজেদের স্বর্গরাজ্য স্থাপনের উদ্দেশ্যে নানান অপকর্ম করেছেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে বিভিন্ন মামলা হামলা করে হয়রানী করার অভিযোগও রয়েছে। এসকল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় সচেতন মহল ও স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, দুর্নীতিবাজ কংজরী চৌধুরী সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার নামে রয়েছে কয়েকশত একরের বাগান বাগিচা। সূত্রে আরো জানা যায়, তার নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফ্লেট বাড়ি আছে। যা সুষ্ঠ তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে। এমনকি বিভিন্ন স্কুল ও প্রতিষ্ঠান নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যেমন-গুইমারা যৌথখামার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এখন হচ্ছে যৌথকামার নিম্মামাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়াও গুইমারা কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটিতে থেকে ব্যাপক লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। বাজারের প্লট বরাদ্দ দিয়ে কয়েকশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীদের থেকে। আবাসিকের জায়গা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরকে ভাড়া দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ, বাজারের টয়লেট ও ডাস্টবিনের জায়গা দখল করে প্লট বরাদ্দ, যাত্রী ছাউনির প্লট বরাদ্দ দিয়ে বছরের পর বছর অর্থলোপাটসহ নানান অনিয়ম অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু এই কংজরী চৌধুরী। তার দাপটে এলাকার সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে।
জানা যায়, স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর এই অনিয়মকারী ও দুর্নীতিবাজ কংজরী চৌধুরী আত্মগোপনে চলে গেছেন। ইতিমধ্যে মানিকছড়ি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে দ্রুত খুজে সকল নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের প্রতিটি অনিয়ম ও দুর্নীতি হিসাবসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানায় সচেতন মহল ও ভুক্তভোগিরা।