কুমিল্লায় ভয়ংকর রূপে গোমতী নদী; ২লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

news paper

এইচ এম মহিউদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১-৮-২০২৪ বিকাল ৬:৫১

300Views

সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে কুমিল্লার গোমতী নদীতে বৃদ্ধি হচ্ছে পানির স্রোত। গোমতি নদীর পানি বিপৎসীমার মাত্র ৯ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। এতে গোমতী নদী ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। যার ফলে আতঙ্কে সময় পার করছেন নদীর তীরবর্তী মানুষসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

ভারত থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে জেলার আদর্শ সদর, চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, বুড়িচং , দেবিদ্বার ও তিতাস এলাকার কিছু অঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় ঘরবাড়িতে পানির নিচে ডুবে গেছে। উঠতে শুরু করেছে নদীর লোকালয় ও বিভিন্ন উপজেলার মানুষের বাড়ীঘরে, ফলে ২লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে আশ্রয় নিয়েছে। পানিবন্ধি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে উপজেলার বিভিন্ন সরকারী স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসন থেকে শুকনো কাপড় ও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে, এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে আসা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করছে স্বেচ্ছাসেবক টিম। বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ডুবে যাওয়া সাধারণ মানুষের বাড়ীঘর থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ও ব্যবহারের কাপড় চোপড় উদ্ধার করে সহযোগিতা করছে স্থানীয়রা। প্রয়োজন এখন তাদের শুকনো খাবার। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর ফলে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টায় কুমিল্লায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর গত ৭২ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ দুর্বল হতে থাকলেও মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। যার ফলে এ ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে আরও ২-৩ দিন। আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বৃষ্টিপাতের ফলে গোমতী নদীর পানি এতটা বৃদ্ধি হওয়ার কথা নয়। গোমতী নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের ডাম্বল লেকের বাঁধ খুলে দেওয়ার ফলে ক্রমশ পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই লেকের বাঁধ খুলে দিলে কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালী অঞ্চল প্লাবিত হয়। ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যা সৃষ্টি হলেও কুমিল্লায় এখন পর্যন্ত তেমন চিত্র চোখে পড়েনি। কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়ালিউজ্জামান বলেন, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় এ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ১২ সেন্টিমিটার। তিনি আরও বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি টিম নদীর তীরে অবস্থান করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে। তবে গোমতীর কোথাও বাঁধ ভাঙার তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।


আরও পড়ুন