নারীর ফাঁদে জল্লাদ শাহজাহান

news paper

আবু তালহা তারীফ, কেরানীগঞ্জ

প্রকাশিত: ৪-৪-২০২৪ দুপুর ১১:৫২

478Views

জল্লাদ শাহজাহান পরিচিত মুখ। যিনি কারাগারে ফাসি কার্যকর করতেন দীর্ঘ ৪৪ বছরের সাজা ভোগ করে কেরানীগঞ্জের গোলামবাজার এলাকায় ছোট দোকান নিয়ে চা বিক্রি করা শুরু করেছিলেন। সংসারিক জীবন শুরু করতে গিয়ে সদ্য বিবাহিত স্ত্রী নি:স্ব করে চলে যায় জল্লাদ শাহজাহানকে। উল্টো মামলা করে শাহজাহানের বিরুদ্ধে।  সহযোগিতা কামনা করেন প্রধান মন্ত্রী ও বিভিন্ন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিকট। একটু মাথা গুজার ঠাই চান তিনি। 
জল্লাদ শাহজাহান বলেন,  সাথী আক্তার ফাতেমা নামের ২৩ বছর বয়সী এক তরুণী ও তার মায়ের সঙ্গে পরিচয় হয়।  পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই তরুণীর পরিবারের চাপে তাকে বিয়েও করেন তিনি। তবে বিয়ের তিন মাস হতে না হতেই স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ প্রায় ১৭ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান  স্ত্রী সাথী। পালিয়ে গিয়ে উল্টো শাহজাহানের নামে করেন যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা৷ অপরদিকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করতে চাইলেও প্রথমে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর সহায়তায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন জল্লাদ শাহজাহান।তারা হলেন, স্ত্রী সাথী আক্তার ফাতেমা ও শাশুড়ি শাহিনূর বেগমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন শাহজাহান ভূঁইয়া। অপর আসামিরা হলেন- শাহজাহানের শ্বশুড় বাড়ির স্বজন দীন ইসলাম, আজিদা বেগম,রাসেল ও বাবলু।   ১৯৭৯ সালে ডাকাতি ও হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে যান শাহজাহান। ১৯৮৮ সাল থেকে সহকারী জল্লাদ হিসেবে কাজ শুরু করেন জল্লাদ শাহজাহান। 

আরও পড়ুন