ভূমিকম্পে ১৪০০ মৃত্যুর পর হাইতিতে চোখ রাঙাচ্ছে শক্তিশালী ঝড়

news paper

সকালের সময় ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭-৮-২০২১ দুপুর ১১:১২

9Views

ক্যারিবীয় রাষ্ট্র হাইতিতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৪০০ ছাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রীষ্মকালীন ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

হাইতি ও ডেমিনিকান রিপাবলিক নিয়ে গঠিত দ্বীপ হিসপানিওলার কাছাকাছি ট্রপিক্যাল সাইক্লোন গ্রেস অবস্থান করছিল। সোমবার বাতাসের তীব্রতা বাড়িয়ে এটি এগোতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সিএনএনের আবহাওয়াবিদ হ্যালে ব্রিংক।

ব্রিংক বলেন, এই অঞ্চলে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে কিছু বিচ্ছিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এদিকে হাইতির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান জেরি চ্যান্ডলার বলেছেন, আসন্ন ঝড় নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। কারণ এটি আমাদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।

সিএনএনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সকালে হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানা এই শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৪১৯ জন মারা গেছে। আহত হয়েছেন আরও ছয় হাজার ৯০০ জনেরও বেশি। এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।

মার্সেলিন লরেজোয়ে নামে এক স্বেচ্ছাসেবক সিএনএনকে বলেন, আমাদের সত্যিই সাহায্য দরকার। গতকাল আমি হাসপাতালে সাহায্য করছিলাম। তখন দেখলাম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

তিনি আরও বলেন, আহদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। নেই পর্যাপ্ত ওষুধও। এখানে গুরুতর জখম অনেক মানুষ আছে। বিষয়টি আরও জটিল হওয়ার আগে আমাদের জরুরি সাহায্য প্রয়োজন।

সোমবার (১৬ আগস্ট) হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি সাহায্য ও উদ্ধার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, সাহায্যের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক সম্ভাব্য মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমরা আমাদের প্রচেষ্টা দশগুণ বৃদ্ধি করব।

বেসামরিক সুরক্ষা সংস্থার মতে, ভূমিকম্পটি ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় উদ্ধারকর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ভূমিকম্পে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি এক মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি জনগণকে সংহতি দেখানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে আমরা অধিক ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি পাঠাচ্ছি। আহতদের মধ্যে যাদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন, আমরা তাদের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যককে সরিয়ে নিয়েছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে যতটা সম্ভব জীবিতদের উদ্ধার করা। আমরা জানতে পেরেছি যে স্থানীয় হাসপাতালগুলো, বিশেষ করে লেস কায়েসের হাসপাতালগুলোতে আহত, হাড়ভাঙা মানুষে ভরে গেছে।


আরও পড়ুন