ইবিতে পোষ্য কোটার আন্দোলনে বিভক্তি
প্রকাশিত: ২১-৯-২০২৩ দুপুর ১২:১২
ইবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোরশেদুর রহমান এবং বর্তমান সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলমের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে পোষ্যকোটার আন্দোলনে বিভক্তি শুরু হয়েছে বলে এমন খবর পাওয়া গেছে। ১৭ সেপ্টেম্বর কর্মকর্তা সমিতির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে একাধিক সূত্রে বিভেদের কারণ পরিস্কার হওয়া গেছে।তথ্য সূত্রে জানা যায়,ইবিতে পোষ্য কোটার ভর্তিতে শিথিল, চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে প্রায় দুই মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন ইবি কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দ।১৬দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি চলমান রয়েছে।ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেই পোষ্যধারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দিতে হবে মর্মে গত ২ জুন থেকে কর্মকর্তা সমিতি আন্দোলন শুরু করে।২৮ আগস্ট পোষ্য কোটায় শিথিল করা এবং চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধিসহ ১৬ দফা দাবিতে এ সমিতির নেতৃবৃন্দ ভিসি অফিসে স্মারকলিপি প্রদান করেন। ইবি চাকরিজীবিদের ব্যানারে গত ১ আগস্ট থেকে চলে আসা এ আন্দোলনে লাগাতার কর্মবিরতি হিসেবে কর্মকর্তা- কর্মচারীরা প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ২ টা পর্যন্ত পাচ ঘন্টা কর্মবিরতি করে আসছে।কর্ম বিরতিতে ক্যাম্পাসে স্থবিরতা বিরাজ করছে।১৭ সেপ্টেম্বর কর্মকর্তা সমিতির সঙ্গে আলোচনায় বসে ইবি প্রশাসন।বর্তমান সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলমের নেতৃত্বাধীন জোট আলোচনা বয়কট করে ক্যাম্পাসের আমতলায় সমাবেশ করে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের সঙ্গে কোন বৈঠক নয় বলে জানিয়েছেন বর্তমান সভাপতি। সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোরশেদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন জোট ১৬দফার আন্দোলনে একমত হলেও লাগাতার কর্মবিরতিতে দ্বিমত পোষণ করে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করায় এ বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোরশেদুর রহমান জানান, 'আমরা ১৬ দফার দাবি আদায়ের আন্দোলনে একমত কিন্তু যে দাবি আলোচনার মাধ্যমে আদায় করা সম্ভব সে দাবি আদায়ে অহেতুক শিক্ষার্থীদের জিম্মি করা হয়েছে। লাগাতার কর্মবিরতির আন্দোলন সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। বর্তমান সভাপতি এ বক্তব্য অস্বীকার করে বলেন, 'এটা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।প্রশাসন বয়সবৃদ্ধি না করলে অল্প সময়ের ব্যবধানে কিছু উচ্চ পদের কর্মকর্তা অবসরে যাবে।সে সমস্ত পদের লোভী হয়ে কিছু মীর জাফর মার্কা কর্মকর্তা প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এ আন্দোলনকে ব্যাহত করার পায়তারা করছে।এ বিষয়ে ভিসিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি দৈনিক সকালের সময়কে জানান , 'ইবিতে ইউজিসি নির্দেশিত সকল কোটা বাস্তবায়ন করা হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে ইবি প্রশাসন সর্বদা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নীতিমালা মালার বাইরে আমাদের কিছুই করার নাই।গুচ্ছের আওতায় সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতি একই।