নির্বিকার চসিক সিডিএ

বাকলিয়ায় বিনা বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা

news paper

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: ৩০-৫-২০২১ দুপুর ৪:৩৭

14Views

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার চর চাকতাই, নয়া মসজিদ, আবু জহুর বালির বাপের বাড়ি এলাকাসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিনা বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো ধরণের ঝড়-বিষ্টি ছাড়াই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এলাকায় বসবাসরত হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। জলাবদ্ধাতা নিরসরের জন্য বারবার তাগিদ দেয়ার পরও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো নির্বাকার রয়েছে। 

সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর বাকলিয়া থানার বেশ কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে সর্বদাই হাঁটু ও কোমর পরিমাণ পানি রাস্তায় জমে আছে। ঝড়-বৃষ্টি ‍এবং খালের জোয়ার-ভাটায় ২৫০টি পরিবার পানির সাথে সংসার করে আসছেন। ময়লাযুক্ত অপরিষ্কার পানি প্রতিদিন ঘরে প্রবেশ করায় বিভিন্ন পানিবাহিত রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন বসবাসরতরা।

জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে স্থানীয়রা জানান, নালা সংস্কার না করার ফলে এসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। মূল সড়ক যত টুকু উঁচু করা হয়েছে ওই পরিমাণ  রাস্তাগুলো  উঁচু না হওয়ায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী করে সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলরদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইয়াছিন চৌধুরী আশু ১৫ বছর ধরে জনপ্রতিনিধি ছিলেন। ১৫ বছরে একবার রাস্তা এবং নালার কাজ করেছেন। তাও এই এলাকার মানুষদের জলবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারেননি।

এ বিষয়ে স্থানীয় মো. সেকান্দর আলম নামের এক ব্যক্তি বলেন, জলবদ্ধতার মধ্যে এই এলাকার মানুষের বসবাস। জোয়ারের কারণে নালার ময়লা পানি রাস্তায় চলে আসে, তার ওপর ময়লা! রাস্তায় পানি উঠলে ২-৩ ইঞ্চি ময়লার স্তূপ জমে। চলাচলে বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের প্রধান নির্বাহী আলমগীর নুর বলেন, বাকলিয়ার ওপর দিয়ে প্রবহমান খালগুলো বন্ধ থাকায় এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন প্রকল্পের যে কাজ শুরু হয়েছে সে কাজ দ্রুত শেষ না হলে এই মুহূর্তে বৃষ্টি পড়লে বৃহত্তর বাকলিয়ার ১০ লাখ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়বে। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তিনি।

এলাকায় জলাবদ্ধাতার বিষয়ে সাবেক কাউন্সিল ইয়াসিন চৌধুরী আশুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এলাকার কিছু মানুষের অসহযোগিতার কারণে এলাকাটি জলাবদ্ধতামুক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানান। তিনি জানান, এ রোডের টেন্ডার হয়েছিল ব্রিকের, তবে এলাকাবাসী বলেছে আরসিসি দিয়ে করতে। যার ফলে টেন্ডার নেয়া লোকদের সাথে এলাকাবাসীর মতবিরোধ হয়। ফলে কাজ বন্ধ হয়।

জলাবদ্ধতার বিষয়ে ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ছোটকাল থেকে থেকে পানি দেখে আসছি। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা এলাকাটি জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে পারব।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষের (সিডিএ) সচিব আনোয়ার পাশার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


আরও পড়ুন