টাইব্রেকারে মেক্সিকোকে হারিয়ে অলিম্পিকের ফাইনালে ব্রাজিল

news paper

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩-৮-২০২১ বিকাল ৫:১২

3Views

র্ধারিত ৯০ মিনিট গোলশূন্য ড্র। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটও ব্রাজিল এবং মেক্সিকোর কেউ কারো জালে বল প্রবেশ করাতে সক্ষম হলো না। খেলা গড়ালো টাইব্রেকারে। সেখানেই নিজেদের জাত চিনিয়ে দিলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলাররা। মেক্সিকোকে ৪-১ গোলে হারিয়ে টোকিও অলিম্পিকের ফাইনালে উঠে গেলো সেলেসাওরা।

২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে প্রথমবারেরমত স্বর্ণ পদকের দেখা পায় ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। অন্যদিকে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকের ফাইনালে এই মেক্সিকোর কাছেই ২-১ গোলে হেরে স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় লাতিন আমেরিকার দেশটির। সবচেয়ে বড় কথা, টানা তৃতীয়বারের মত অলিম্পিকের ফাইনাল খেলছে ব্রাজিলিয়ানরা।

১২০ মিনিটের খেলায় গোল করতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিল-মেক্সিকোর স্ট্রাইকাররা। তবে, টাইব্রেকারের চাপ ব্রাজিলের চেয়ে মেক্সিকোকে সবচেয়ে বেশি কাবু করেছে, যা পেনাল্টি শ্যুট-আউটেই দেখা গেলো।

টাইব্রেকারে ব্রাজিলের হয়ে টাইব্রেকারে প্রথম শট নিতে আসেন অধিনায়ক দানি আলভেজ। তার দুর্দান্ত শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে মেক্সিকোর অভিজ্ঞ গোলরক্ষক এবং অধিনায়ক গুইলার্মো ওচোয়া হাত লাগাতে সক্ষম হলেও ঠেকাতে পারেননি। গোল, ১-০। এরপর মেক্সিকোর হয়ে প্রথম শট নিতে আসেন এদুয়ার্দো আগুইরে। কিন্তু তার এত দুর্বল শট যে খুব সহজেই ব্রাজিল গোলরক্ষক সান্তোস ঠেকিয়ে দিলেন। গোল মিস, ১-০।

ব্রাজিলের হয়ে দ্বিতীয় শট নিতে আসেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। এটাও গোল, ২-০। মেক্সিকোর হয়ে দ্বিতীয় শট নিতে আসেন ইয়োহান ভাস্কুয়েজ। কিন্তু মিস করলেন তিনিও। বল মেরে দিলেন পোস্টের বাইরে। ২-০। ব্রাজিলের হয়ে তৃতীয় শট নিতে আসেন ব্রুনো গুইমারেজ। এটাও গোল। ওচোয়া ঝাঁপিয়ে পড়েও ঠেকাতে পারেনননি। ৩-০।

মেক্সিকোর হয়ে তৃতীয় শট নিতে আসেন কার্লোস রদ্রিগেজ। এবার গোল করতে সক্ষম হলো তারা। ৩-১। ব্রাজিলের হয়ে চতুর্থ শট নিতে আসেন রেইনার। তার শট জড়িয়ে গেলো মেক্সিকোর জালে। গোল, ৪-১। সে সঙ্গে ফাইনালে ওঠার আনন্দ উল্লাসে ভাসলো ব্রাজিল।

অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়েই টোকিওয় এসেছে দানি আলভেজের নেতৃত্বাধীন ব্রাজিল ফুটবল দল। সে লক্ষ্যে অবশেষে ফাইনালেও উঠে গেলো তারা। যদিও ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ব্রাজিলের সামনে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছে মেক্সিকান ফুটবলাররা।

জাপানের কাসিমা স্টেডিয়ামে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথমার্ধে তো ব্রাজিল গোল করতেই পারেনি। এমনকি দ্বিতীয়ার্ধ এবং অতিরিক্ত সময়েও কেউ কারো জালে বল প্রবেশ করাতে পারেনি।

৯০ মিনিটে অমিমাংসিত থাকার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। দু’পক্ষই বেশ কয়েকবার আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে চেষ্টা করেছে গোল করার। কিন্তু কেউ কারো ডিফেন্স এতটুকু টলাতে পারেনি। সুতরাং, ১২০ মিনিটের খেলা পুরোটাই থেকে যায় গোলশূন্য ড্র।


আরও পড়ুন