১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে : ফখরুল

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২-৮-২০২১ দুপুর ৪:৩৪

1Views

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার লালমনিরহাট বিএনপির উদ্যোগে ‘জেলার কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টারের উদ্বোধন এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা প্রদান উপলক্ষে’ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জিয়াউর রহমান সম্পৃক্ত ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডতো আপনারা ঘটিয়েছেন, আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে। অন্য কেউ তার সাথে জড়িত ছিলো না। যারা করেছে তারা সামরিক বাহিনীর লোক ছিলো। তাদের সঙ্গে আপনারা যুক্ত ছিলেন বলেই আপনারা করেছেন।

‘সুতরাং মাছ দিয়ে শাখ ঢাকার চেষ্টা করবেন না। নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য অন্যকে দোষারোপ করে লাভ নেই। নিজেরা পরিষ্কার হউন, নিজেরা পরিচ্ছন্ন হউন, পরিশুদ্ধ হউন। হত্যার রাজনীতি বাদ দেন এবং সন্ত্রাসের রাজনীতি বাদ দেন, জনগণকে প্রতারণা করবার রাজনীতি বাদ দেন। বাদ দিয়ে আপনারা সঠিকভাবে জনগণের যে আকাংখা সেই আকাংখাকে পুরণ করেন। ১৯৭২ সালের সংবিধান, সেই সংবিধান মতো কাজ করেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, এদের (আওয়ামী লীগ সরকার) কাজ কী? এদের কাজ হচ্ছে সারাক্ষণ বিএনপিকে দোষারোপ করা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেবকে কিভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যায় তার চেষ্টা করা, কিভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে খাটো করা যায় তার চেষ্টা করা, কিভাবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা যায় সেই চেষ্টাই তারা করছে।

তিনি বলেন, অত্যন্ত সন্মানিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ১৫ আগস্টের যে হত্যাকাণ্ড ১৯৭৫ সালে। আমরা কিন্তু প্রত্যেকবার আমাদের নেতা, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে সবসময়েই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। আমরা কেউই কোনো হত্যাকাণ্ড সমর্থন করি না। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, বিচার করেছেন আপনারা (আওয়ামী লীগ সরকার)।

‘সেই বিচার করার পরে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। অথচ আপনারা এখন শুরু করেছেন নতুন একটা গীতের গান, গীত গাওয়া, গান গাওয়া যে, জিয়াউর রহমান এটার সাথে সম্পৃক্ত ছিলো।’

ফখরুল বলেন, কোথাও প্রমাণ করতে পারেনি, কেউ না। আজ পর্যন্ত কেউ এই কথা বলে নাই যে, জিয়াউর রহমান সাহেব সম্পৃক্ত ছিলেন। জিয়াউর রহমান সাহেবতো তখন ডেপুটি চিফ মার্শাল এডমিনিস্টারও ছিলেন না। তিনি সেনাবাহিনীর উপপ্রধান ছিলেন মাত্র।

‘সেনা প্রধান ছিলেন শফিউল্লাহ সাহেব (কেএম শফিউল্লাহ)। সেই শফিউল্লাহ সাহেব তো গিয়ে খন্দকার মোশতাককে স্যালুট করেছেন, একে খন্দকার সাহেব (বিমান বাহিনী প্রধান) স্যালুট করেছেন, নেভাল চিফ স্যালুট করেছেন। আপনাদের খন্দকার মুশতাক সাহেবের সঙ্গে পুরো ৩১ জনের মন্ত্রীসভা গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের রক্তের ওপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে তারা মন্ত্রীত্বের শপথ নিয়েছেন।

জেলা সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক বক্তব্য রাখেন।


আরও পড়ুন