ইম্পেরিয়াল রয়্যাল হাসপাতাল মানবিক চিকিৎসার দৃষ্টান্ত

news paper

শামীম আহমদ

প্রকাশিত: ৬-৬-২০২৩ দুপুর ১১:৪৮

34Views

ঢাকার শনির আখড়ায় স্বাস্থ্যসেবা খাতে মানবিক চিকিৎসার জন্য এক অন্যান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে ইম্পেরিয়াল রয়্যাল হাসপাতাল। হাসপাতালটির চেয়ারম্যান একজন সত্যিকার মনুষ্যত্বের উদাহরণ। জিয়া স্বরনী রোড, পলাশপুর, শনির আখড়া, কদমতলী, ঢাকা। আর এস টাওয়ারের বিপরীতে, উত্তরা ব্যাংকের সাথে এই হাসপাতালের প্রধান ফটক অতিক্রম করে ভেতরে প্রবেশ করতেই অনুভব হবে আপনার চিকিৎসা সেবা শুরু হয়েছে। বাস্তবতাও তাই। হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী আপনার চাহিদামতো সেবা শুরু করবে। মনে হতে পারে এটাই তো হাসপাতালের বৈশিষ্ট্য। হ্যাঁ, স্বাভাবিক সকল বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি এই হাসপাতালটির সকল সেবা বিভাগের কর্মীদের একটু বেশি মানবিক আদর্শের মনে হবে। লিফট বা সিঁড়ি পেরিয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠলেই সেখানে পাবেন ঢাকার অনেক নামীদামী চিকিৎসকদের চেম্বার। কম ভিজিটে এতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকার অন্য কোন হাসপাতালে পাওয়া যায় না।

মূল আকর্ষণ এই হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ডাক্তার মশিয়াত ফারুক তুষার। কোন অপূর্ণতা নেই তার মনুষ্যত্বের আদর্শে। তার মুখের কথা ও হাসি যেন কোন রুগীর জন্য চিকিৎসার সূচনা। রবীন্দ্রনাথের বইতে পেয়েছি "মানুষের মনুষ্যত্ব বিপুল মৃত্যুর স্তুপের মধ্যে থেকেও সম্পূর্ণ মরতে চায় না"। রবীন্দ্রনাথের সেই মানবতার চেতনা পুরপুরি পরিস্ফুটিত ডাক্তার মাশিয়াত ফারুক তুষারের আত্মা। তার ভেতরে লুকিয়ে আছে একজন সত্যিকারের মনুষ্যত্বের নিদর্শন। তার হাসপাতালের পরিচালনার মূখ্য উদ্দেশ্য মানুষের সেবা, সাধারণ মানুষের অসুস্থতা পুঁজি করে বানিজ্য করা তার হাসপাতালের বৈশিষ্ট্য নয়। একজন রুগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাকে সুস্থ করার সকল প্রচেষ্টা তার হাসপাতালের সমস্ত স্টাফদের মধ্যে লক্ষ করা যায়। মানুষের সেবা করার জন্য যুগে যুগে আল্লাহ কিছু মানুষ আলাদা ভাবে তৈরি করে এই দুনিয়ায় প্রেরণ করছে। মানবতার সেবক হয়ে বিভিন্ন পেশায় আত্মনিয়োগ করে তারা এই জগৎ বিচরণ করে। মানবতার দূত হিসেবে তেমনি ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করা ব্রত নিয়ে মাশিয়াত ফারুক তুষার জীবনকে উৎস্বর্গ করছেন। আপনারা পরিচিত হতে পারেন এমন একজন মানবিক ডাক্তারের সাথে।

প্রতিদিন শতাধিক ভিজিটর। তবে মাত্র ৩০০ টাকা ফি, তবে এই টাকা দিতে অপারগ হলে ফি দরকার নাই। অর্থাৎ মানবিকতার নিদর্শন এখানেই শুরু। বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলার লোক এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার খবর পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমি কয়েকজন রুগীর সাথে কথা বলে এই প্রতিবেদনে সাজানো হয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা বরগুনার পাথরঘাটা থেকে জুবায়ের মাহমুদ নামে একজন চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছিলেন এই হাসপাতালে। তার স্ত্রী সাবিকুন্নাহার মনির সন্তান প্রসবকালীন চিকিৎসা নিয়ে অত্যন্ত সুখী, জুবায়ের মাহমুদ বলছেন ঢাকা শহরে এতো আধুনিক এবং সুলভে সেবা করার সুযোগ তিনি এই ইম্পেরিয়াল রয়্যাল হাসপাতাল খুঁজে পেয়েছেন। বেসরকারি খাতে স্বাস্থ্যসেবার মূল্য কীভাবে কমিয়ে রেখে তা দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকারকে সহজ করতে পারে তার পথ খোঁজার চেষ্টা হয়েছে এই হাসপাতালে। ঢাকা শহরের মানুষ বহু বছর থেকে সরকারি বিনামূল্যের চিকিৎসা সেবা দেখে এসেছে। দেখেছে অনেক অলাভজনক দাতব্য চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র। তারা মনে করে চিকিৎসক-নার্সরা মানুষের ভেতরে ভিন্ন কেউ যারা সকল লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে মানুষের রোগ-শোক, দুঃখ দূর করার জন্য সার্বক্ষণিক নিবেদিত থাকবে। তাই এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ এই হাসপাতালটির প্রতি ভরসা রাখে।

যে দেশের অর্থনীতি যত শক্তিশালী সাধারণত তার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা তত শক্তিশালী আশা করা যায়। অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলছেন, শক্তিশালী অর্থনীতি গড়তে প্রয়োজন শিক্ষিত ও সুস্থ জনশক্তি; এ জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সুযোগ ও সক্ষমতা তৈরিকে। জনগণের সুস্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে হাসপাতালের সেবার মান ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে ইম্পেরিয়াল রয়্যাল হাসপাতাল।


আরও পড়ুন