আইনের রক্ষক হয়ে আইন অমান্য করলেন ওয়ান ফটিফাইভ

news paper

বিল্লাল হোসেন

প্রকাশিত: ৪-৬-২০২৩ দুপুর ৩:৫৭

60Views

রাজধানীর ডেমরা থানার ডগাইরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে কর্মরত এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওইসব ঘটনার জন্য তার বিরুদ্ধে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ১২ এপ্রিল- ২০২৩, মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান তোতা। আদালতের ওই পিটিশন মামলা নং-৮৭/২৩। এছাড়া বাদী ১৯ এপ্রিল-২০২৩ তারিখে ডেমরা থানায় তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরীও করেছেন।

ডায়েরী নম্বর-৮৯৫। জানা গেছে, ওই কর্মকর্তার নাম এ কে এম দিদারুল আলম। তিনি বর্তমানে ভোলা জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত আছেন। সূত্রে জানা গেছে, দিদারুল আলম চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার ইছাপুর গ্রামের রুহুল আমিনের পুত্র। সে ডেমরা থানার পাড়া ডগাইর, নামাপাড়ার বাসিন্দা। সূত্রে জানা যায়, বাদী মিজানুর রহমান তোতা ডেমরা থানার পশ্চিম ডগাইর নামাপাড়া (নতুনবাগ) স্বপরিবারে বসবাস করেন। তিনি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার কদম মাদবরের কান্দি গ্রামের মদন বেপারীর ছেলে। বাদী তোতা ওই কর্মকর্তাসহ ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে তার বাড়ির গেইট, ওয়াল, আসবাবপত্র ভাংচুর, মারধর সহ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা মামলার আরজিতে উল্লেখ করেছেন। সূত্রে জানা গেছে, আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্তভার দিয়েছেন। অপরদিকে ডেমরা থানার ১৯ এপ্রিল-২০২৩ তারিখের ৮৯৫ নং জিডি এসআই তৌহিদুল ইসলাম তদন্ত করছেন। এসব বিষয়ের তদন্তকর্মকর্তা মোবাইল ফোনে প্রতিবেদককে জানান, জায়গা-জমি নিয়েই তাদের মধ্যে মূলত বিরোধ। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা-পাল্টি জিডি ও অভিযোগ করেছেন। তিনি আরোও জানান, তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হলে কোন মন্তব্য করা যাবে না।  তবে আপনি এসিল্যান্ড স্যারের সাথে এবিষয়ে আলাপ করলে কিছু জানতে পারবেন। বাদীর বক্তব্য :- আমার পূর্বের মালিক হাসিনা বেগম। তিনি পৈত্রিক সূত্রে ১৮ শতাংশ ভূমির প্রকৃত মালিক। তার ডেমরা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ০৭/০৮/১৯৮৮ইং তারিখ রেজিষ্ট্রিকৃত আপোষ বণ্টন নামা দলিল নং-২৬৯ মূলে হাসি- না বেগম ৭২.৩৯.৫০ শতাংশ ভূমির কাতে ১৮ শতাংশের প্রকৃত মালিক। তার নিজ নামে জমাভাগ ও আপোষ বন্টন নামা দলিল, নামজারী, খাজনা খারিজ, সিটি জরিপ হ যাবতীয় দলিল পত্র রয়েছে।

আমি তার থেকে ২০০৭ সালে ৪.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করে বসবাস করছি। আর ওই কর্মকর্তা কিনেছেন ২০২১ সালে। হাসিনা বেগম একই দাগে আরোও ৩টি পুট ৩ জনের কাছে বিক্রি করেছে। তারা যেহেতু ভোগখলে আছে সেহেতু আমার সমস্যা কিসের? তিনি আরোও বলেন, আমার পূর্বের মালিক হাসিনা বেগম যেহেতু শতভাগ সঠিক সেহেতু আমার দলিলও শতভাগ সঠিক আছে। অহেতুক গায়ে পড়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা দিদারুল আলম ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।

আমি একজন অসহায়, দুর্বল ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষ। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি। বিবাদীর বক্তব্য- ভোলা জেলায় কর্মরত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক একেএম দিদারুল আলম এর মুঠোফোনে এসব বিষয়ে কথা হলে, তিনি প্রতিবেদক-কে জানান, আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা, আমার বেআইনি কোন কিছু করার সুযোগ নেই। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মিজানুর রহমান তোতা'র ভূমির মালিকানার স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র নেই। আমি হাসিনা বেগম এর ভাইয়ের থেকে ১৯৯০ সালে জায়গা কিনেছি। আমাকে অহেতুক সামাজিক ভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য বিভি- ন্ন মহলে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে। তিনি আরোও বলেন, এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্তেই সব বেরিয়ে আসবে।


আরও পড়ুন